শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৩০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
৩৫০০ পিস ইয়াবাসহ দুই ইয়াবা ব্যাবসায়ীকে আটক করেছে র‍্যাব ১০ ঢাকা জেলা ডিবি (দক্ষিন) কর্তৃক বিশেষ অভিযানে দেশীয় অস্ত্র ও পিকাপ গাড়ি সহ ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ০৪ জন ডাকাত গ্রেফতার। কেরাণীগঞ্জে কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান ফ্যাসিস্ট হাসিনার সহযোগীদের আইনের আওতায় আনা হবে — গয়েশ্বর কেরানীগঞ্জ মডেল উপজেলা বিএনপির আয়োজনে বিজয় র‌্যালী। গণঅভ্যুত্থান দিবস ও সরকার পতনের বর্ষপূর্তিতে চাঁদপুরে বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিসের বিজয় র‍্যালি। সীমাহীন যাত্রী ভোগান্তি চরমে কদমতলী এলাকায় ডিসি কাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন কেরানীগঞ্জে তরুণরা। চাঁদপুরে গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কনে ফুটে উঠল রক্তাক্ত জুলাই ‘২৪-এর রঙে’ শিক্ষার্থীদের তুলিতে স্বাধীনতার বীরগাঁথা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বিশেষ অভিযানে ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ গ্রেপ্তার। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে চাঁদাবাজি বিরোধী অভিযানে সেচ্ছাসেবক দল নেতাসহ ৩ জন গ্রেপ্তার ।

নড়াইলে সেনাবাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার কুখ্যাত ডাকাত ‘মনির গুণ্ডা’ ও তার চক্র

নড়াইলে সেনাবাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার কুখ্যাত ডাকাত ‘মনির গুণ্ডা’ ও তার চক্র।

খন্দকার ছদরুজ্জামান,
নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:

নড়াইল, ৯ জুন:
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক সাহসী অভিযানেই গ্রেফতার হয়েছেন মাগুরার শীর্ষ ডাকাত মনিরুল ইসলাম, পরিচিত ‘মনির গুণ্ডা’, যার বিরুদ্ধে মাগুরা জেলায় একাধিক ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগ রয়েছে। অভিযান পরিচালিত হয় দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত, নড়াইল সদর হাসপাতালে সেনা ও পুলিশের যৌথ টহলদল কর্তৃক।

মনির গুণ্ডার সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন তার চক্রের আরও চার সদস্য—বিল্লাল হোসেন, তোকু ভূঁইয়া, রিপন মাহমুদ এবং শাহারিয়া। অভিযানের সময় তারা নড়াইল ও আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল বলে জানা গেছে।

গ্রেফতারকৃত মনিরুল ইসলাম, পিতা নুরুল ইসলাম মাস্টার, শিকদারপাড়া, বেরইল, মাগুরা সদর এলাকার বাসিন্দা। বিল্লাল হোসেন, পিতা আব্দুর রশিদ, বাটজোর, মাগুরা থেকে আসা। তোকু ভূঁইয়া, পিতা নুরুল মোল্লা, মাগুরা এলাকার একজন সন্ত্রাসী। রিপন মাহমুদ, পিতা খায়রুল ইসলাম এবং শাহারিয়া, পিতা কিবরিয়া মোল্লা, মণিরামপুর, বেরইল, মাগুরা থেকে গ্রেফতার হওয়া অন্যান্য সদস্যরা।

অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি দেশীয় ধারালো ছুরি, যেটি ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত হচ্ছিল।

এছাড়া, গোয়েন্দা তথ্য মতে, চক্রের আরেক সদস্য নড়াইল সদর হাসপাতালে ভুয়া পরিচয়ে ভর্তি ছিলেন, যিনি বর্তমানে তদন্তাধীন। মাগুরা থানায় তার বিরুদ্ধে ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা এখন নড়াইল থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে এবং মাগুরা পুলিশ তাদের নিজ হেফাজতে নিতে রওনা হয়েছে।

সেনাবাহিনীর এই অভিযান এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তার বোধ জাগিয়েছে এবং অপরাধ চক্রের ধ্বংসযজ্ঞ ঘোষণা করেছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অভিযান শেষে এলাকাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং পলাতক সদস্যদের ধরতে তৎপর রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত © সংবাদ সবসময় - ২০২৩
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Marshal Host