শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন
 
 পুরান ঢাকায় নারী অপহরণ মামলায় জাবেদ গ্রেফতার।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর পুরান ঢাকার কোতোয়ালী থানা পুলিশ এক নারী অপহরণ মামলায় মো. জাবেদ (৪১) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নারী অপহরণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামী জাবেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তদন্ত কার্যক্রম চলছে।
কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নারী অপহরণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামী জাবেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তদন্ত কার্যক্রম চলছে।
ঘটনার বিবরণ
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী তানভীর তালুকদার (২০), পিতা মো. রবিউল ওরফে রুবেল, মাতা মোসা. সানজু গাজী, সাং–কলাপট্টি, ১২/১ হায়বৎ নগর লেন, বাবুবাজার, থানা–কোতোয়ালী, ডিএমপি, ঢাকা।
বাদী অভিযোগ করেন, আসামী মো. জাবেদ (৪১), পিতা মৃত মো. আসাদ, মাতা মৃত কানিজ ফাতেমা, সাং–৫০ নং আবুল হাসনাত রোড, সাতরওজা, থানা–বংশাল, জেলা–ঢাকা এবং তার সহযোগী আরমান (২৮) ও অজ্ঞাতনামা ২-৩ জন মিলে তার মা মোসা. সানজু গাজীকে অপহরণ করে।
বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, আসামী জাবেদ প্রায়ই তাদের বাসায় আসা-যাওয়া করত এবং বিভিন্ন সময়ে তার মাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিত। বিষয়টি তার মা প্রত্যাখ্যান করলে জাবেদ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
অপহরণের ঘটনা
গত ১৯ অক্টোবর ২০২৫, সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে মোসা. সানজু গাজী বাসার সামনে রাস্তায় বের হলে তাকে আর পাওয়া যায়নি। দীর্ঘ সময় খোঁজাখুঁজির পরও কোনো সন্ধান না পেয়ে ২২ অক্টোবর কোতোয়ালী থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করা হয় (জিডি নং–১২৫২, তারিখ–২২/১০/২০২৫)।
এজাহারে আরও বলা হয়, নিখোঁজ হওয়ার সময় ভিকটিমের সঙ্গে প্রায় ৮ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ ছিল, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ১৬ লাখ টাকা।
পরে ২৪ অক্টোবর বিকেল ৪টা ২৬ মিনিটে ভিকটিমের মেয়ে (সাক্ষী মেহেজুবা ইসলাম মাহিন) তার মোবাইল নম্বরে (০১৯৬৮৭৪০৮৪৪) অজ্ঞাত নম্বর (০১৯১০৮৮০৬৫৯) থেকে একটি কল পান। ফোনে সানজু গাজী জানান যে, জাবেদ ও আরমানসহ আরও কয়েকজন তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখেছে। এর পরপরই কলটি কেটে যায় এবং পরবর্তীতে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
আইনি ব্যবস্থা
ঘটনার পর বাদী তানভীর তালুকদার কোতোয়ালী থানায় হাজির হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৭/৩০ ধারায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নং: ৩৭৬/২০৯৪১১২২৯০৫)।
কোতোয়ালী থানার পুলিশ মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করে এবং আসামী জাবেদকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
ওসি মনিরুজ্জামান জানান, “ঘটনার পর থেকে পুলিশ অপহৃত নারীকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে বুধবার আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।”
পুলিশের পরবর্তী পদক্ষেপ
পুলিশ জানায়, আসামি জাবেদের সহযোগীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এছাড়া অপহৃত নারী মোসা. সানজু গাজীর অবস্থান নির্ণয়ে প্রযুক্তিগত সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।