শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০৯:০৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
৩৫০০ পিস ইয়াবাসহ দুই ইয়াবা ব্যাবসায়ীকে আটক করেছে র‍্যাব ১০ যে দেশে গণমাধ্যম স্বাধীন, সে দেশগুলোতে দুর্ভিক্ষ হয়না। অধ্যাপক তামিজী যৌতুক মামলায় পরোয়ানাভুক্ত আসামী রুবেল (২৯) রাজধানীর ডেমরায় র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার। ঠাকুরগাঁওয়ে ১৪ মামলায় পুলিশের হাত থেকে ১ আসামি ছিনতাই ! ঠাকুরগাঁওয়ে বিআরটিএ টাকা ছাড়া মেলে না ড্রাইভিং লাইসেন্স ! কেরানীগঞ্জে জনতার সহায়তায় র‍্যাব পরিচয়ে যাত্রীবাহি বাসে ডাকাতির সময় পাঁচ ডাকাত আটক। ঠাকুরগাঁওয়ে গার্ল গাইডস এসোসিয়েশনের মতবিনিময় সভা । ঠাকুরগাঁওয়ে “মির্জা রুহুল আমিন” স্মৃতি টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সংবাদ সম্মেলন প্রতারণা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী জিল্লুর (৩২) রাজধানীর লালবাগ থানা এলাকায় র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে মূল্যায়ণের দাবি অব্যাহত। ড. মাহামুদুর রহমান এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন।

বন্যায় লোকসানের মুখে হরিরামপুরের কলাচাষীরা

বন্যায় লোকসানের মুখে হরিরামপুরের কলাচাষীরা

আবিদ হাসান,হরিরামপুর,মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলায় বন্যায় কলাগাছের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দীর্ঘদিন পানিতে ডুবে থাকায় এবং গোড়া পঁচে যাওয়ার কারণে গাছ মরে যাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন কলাচাষীরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় বাগান আকারে ১২ দশমিক ৪৫ হেক্টর জমিতে এবং বিক্ষিপ্ত ভাবে ১৮ দশমিক ৩৫ হেক্টর জমিতে কলাচাষ হয়েছিলো। যার মধ্যে ১০ দশমিক ৭৫ হেক্টর জমির কলাগাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সরেজমিনে কয়েকটি কলাবাগান ঘুরে দেখা যায়, বাগানের বেশিরভাগ কলাগাছই মরে দুমড়েমুচড়ে পড়ে আছে। গোড়ার অংশ পঁচে যাওয়ার কারণে অনেক গাছ ভেঙে হেলে পড়েছে। কয়েকটি বাগানের প্রায় সব কলাগাছ গোড়া পঁচে যাওয়ায় পানিতে ভেসে গেছে। এছাড়া, কয়েক বাগানের মাঝে মাঝে কিছু কলাগাছ দাড়িয়ে থাকলেও তা শুকিয়ে যাচ্ছে।

অাজিমনগর ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামের মো. নাসির উদ্দিন জানান, আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে তিনি এবারই প্রথম ৫২ শতাংশ জমিতে সবরি কলাচাষ করেছিলেন। বন্যায় কলাগাছের গোড়া পঁচে যাওয়ায় পানির স্রোতে বাগানের সব কলাগাছ ভেসে গেছে। এতে তার ১৫-১৭ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।

রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বাহিরচর গ্রামের কলাচাষী আজিমুদ্দিন জানান, তিনি এবছর ২ বিঘা জমিতে ৪টি কলাবাগান করেছিলেন। বন্যায় গাছের গোড়া পঁচে তার ৪টি বাগানের প্রায় সব কলাগাছ মরে গেছে। এতে তার প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

ক্ষয়ক্ষতির কোন আর্থিক পরিমাণ জানাতে পারেনি উপজেলা কৃষি অফিস। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল গফফার জানান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের বীজ প্রদান বা যেকোনো সরকারি সহায়তার আওতায় আনা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত © সংবাদ সবসময় - ২০২৩
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Marshal Host