মঙ্গলবার, ২৪ Jun ২০২৫, ০৭:০৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
৩৫০০ পিস ইয়াবাসহ দুই ইয়াবা ব্যাবসায়ীকে আটক করেছে র‍্যাব ১০ মাদক আইনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পরোয়ানাভুক্ত আসামী গফুর (৩৮) রাজধানীর শনির আখড়া হতে র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার। কেরানীগঞ্জে ১৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ১২০ পুরিয়া হেরোইন সহ গ্রেফতার ০৪ জন। বরিশাল ৪ আসনের ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীদের ভাবনা নিয়ে মতবিনিময় ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বরিশাল-৪ আসনে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির অগ্রদূত মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ কেরানীগঞ্জে পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষণ: গ্রেফতার-১জন। যশোর মনিরামপুর ২৪ ঘন্টার আগেই চঞ্চল্যকর ছিনতাইয়ের রহস্য : আটক-৭। চকরিয়া পেকুয়ার ৭ মামলায় সাবেক এমপি জাফর আলমের ১৮ দিনের রিমান্ড মন্জুর ছায়া স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ফায়ার সার্ভিসের ডিজি জাহিদ, তার সহযোগী ৫ ই আগষ্টের পরবর্তীতে মামলার আসামি পরিচালক অপারেশন তাজুল ইসলাম চৌধুরী ও ডিজির স্টাফ অফিসার শামস আরমান এ কথা দাবি করেন। স্বৈরাচারের সিন্ডিগেটের কবলে ফায়ার ফাইটার সাদ্দাম হোসেন। স্বৈরাচার অটোরিক্সা চালক মাহবুব হত্যা মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আসামী সোহাগ (৩০) লালবাগে র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার।

স্মৃতিতে শাম্মী আখতার

২০১০ সালে আমার নির্মিত ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ ছবির টাইটেল গানটি শাম্মী আপা গেয়েছেন। এই গানটি দিয়ে তিনি শ্রেষ্ঠ গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। পুরস্কার হাতে নিয়ে আনন্দ আর আবেগে সেদিন আমাকে জড়িয়ে কেঁদেছিলেন।

নিভৃতচারী গুণী মানুষ ছিলেন শাম্মী আপা। গান গাওয়াটাকেই জীবনের ধ্যান ও জ্ঞান হিসেবে নিয়েছিলেন তিনি। প্রচার, চাকচিক্য কোনোদিন মনে হয় তাকে টানেনি। অন্তত আমি তাকে যেভাবে দেখেছি খুবই সাধারণ মানুষ হিসেবেই তিনি ধরা দিয়েছেন। যা তার প্রতি আরও শ্রদ্ধাশীল করেছে আমাকে।

তিনি সারা দেশের শ্রোতাদের কাছেই অনেক শ্রদ্ধার মানুষ ও শিল্পী। আমি তার গায়কীর ভক্ত ছিলাম। ভাগ্যক্রমে একটি কাজ করার সুযোগ আমি পেয়েছি। সেই সুযোগ আমাকে অনেক স্মৃতি উপহার দিয়েছে।

আমি যখন ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ সিনেমাটি বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তখনই পরিকল্পনা করেছিলাম শাম্মী আপার বহুল জনপ্রিয় গানটি আমি সিনেমাতে ব্যবহার করব। এ গানটি তিনি গেয়েছিলেন আশির দশকের দিকে। খুব জনপ্রিয় ছিল।

আমার ছবির টাইটেল ট্র্যাক হিসেবেই এ গানটি নতুন করে তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেই। গানের মূল শিল্পী, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালকদের দিয়েই গানটি করাব। সেই লক্ষ্যেই গানটির সুর ও সঙ্গীতকার শ্রদ্ধেয় শেখ সাদী খানের সঙ্গে কথা বললাম। তিনি রাজি হলেন। নতুন করে তৈরি হল গানটির মিউজিক। মনিরুজ্জামান মনির ছিলেন গানটির গীতিকার। সব রেডি করে শাম্মী আপাকে নিয়ে আসা হল গানের কণ্ঠ দেয়ার জন্য।

তিনি স্টুডিওতে ঢুকে অস্বস্তিবোধ করছিলেন। আমাদের সঙ্গে তার পরিচিতি বা সখ্যতা ছিল না। জেনারেশনের গ্যাপ ছিল। সেজন্যই তিনি আনইজি ফিল করছিলেন।

শেখ সাদী সাহেব উনাকে ইজি করার চেষ্টা করলেন। সেদিন আর গানের রেকর্ড হয়নি। আমরা আবারও স্টুডিও ভাড়া নিলাম। তিনি নিজের মতো করে গানটি যেন গাইতে পারেন সেজন্য তাকে নিয়ে আড্ডা দিলাম। বললাম, যতদিন সময় লাগে লাগুক। এ গান আপনাকেই গাইতে হবে।

অবশেষে তিনিই গানটি গাইলেন। আমি শান্তি পেলাম।’ ‘সবাই তাকে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে গানের মানুষ বলেন। আমি তাকে একজন চলচ্চিত্রশিল্পী হিসেবেই সম্মান করি। তিনি চলচ্চিত্র ভালোবাসতেন। চলচ্চিত্রের সেন্সর বোর্ডের একজন সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। অনেকদিন কষ্ট করেছেন শেষ জীবনে। আল্লাহ আমাদের অদেখা পৃথিবীতে শাম্মী আপাকে ভালো রাখুন। তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল আমার।

লেখক : বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত © সংবাদ সবসময় - ২০২৩
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Marshal Host