বৃহস্পতিবার, ২৬ Jun ২০২৫, ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
৩৫০০ পিস ইয়াবাসহ দুই ইয়াবা ব্যাবসায়ীকে আটক করেছে র‍্যাব ১০ মাদক আইনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পরোয়ানাভুক্ত আসামী গফুর (৩৮) রাজধানীর শনির আখড়া হতে র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার। কেরানীগঞ্জে ১৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ১২০ পুরিয়া হেরোইন সহ গ্রেফতার ০৪ জন। বরিশাল ৪ আসনের ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীদের ভাবনা নিয়ে মতবিনিময় ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বরিশাল-৪ আসনে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির অগ্রদূত মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ কেরানীগঞ্জে পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষণ: গ্রেফতার-১জন। যশোর মনিরামপুর ২৪ ঘন্টার আগেই চঞ্চল্যকর ছিনতাইয়ের রহস্য : আটক-৭। চকরিয়া পেকুয়ার ৭ মামলায় সাবেক এমপি জাফর আলমের ১৮ দিনের রিমান্ড মন্জুর ছায়া স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ফায়ার সার্ভিসের ডিজি জাহিদ, তার সহযোগী ৫ ই আগষ্টের পরবর্তীতে মামলার আসামি পরিচালক অপারেশন তাজুল ইসলাম চৌধুরী ও ডিজির স্টাফ অফিসার শামস আরমান এ কথা দাবি করেন। স্বৈরাচারের সিন্ডিগেটের কবলে ফায়ার ফাইটার সাদ্দাম হোসেন। স্বৈরাচার অটোরিক্সা চালক মাহবুব হত্যা মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আসামী সোহাগ (৩০) লালবাগে র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার।

সিনেমার গল্পের মতো ট্রাফিক সার্জেন্টের সাহসী ভূমিকা

বিকেল সাড়ে ৩টা। নীলক্ষেত কাঁটাবন চৌরাস্তার মোড়ে প্রচণ্ড যানজট। যানজট সামলাতে মরিয়া হয়ে প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলেন একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট ও জনা দুয়েক ট্রাফিক কনস্টেবল।

সিগন্যালের সবুজ বাতি জ্বলে ওঠার আগেই বাস, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ও রিকশার এগিয়ে যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে সার্জেন্টকে হাতে মোটা লাঠি নিয়ে ছুটোছুটি করতে দেখা গেল। নীলক্ষেত মোড় থেকে আসা গাড়িগুলো তখন সোজা উত্তর দিকে হাতিরপুল ও পূর্ব দিকে শাহবাগ মোড়ের দিকে যাচ্ছিল।

এমন সময় পশ্চিমদিক থেকে রাস্তার উল্টোপথে দ্রুতবেগে কাঁটাবন মোড়ের দিকে ধেয়ে আসলো একটি দামি পাজেরো গাড়ি। গাড়ির সামনের আসনে গাড়িচালক ও তার সাথে ইউনিফর্ম পরিহিত এক পুলিশ সদস্য।

ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করতে দেখে সেদিকে ছুটে গেলেন পুলিশ সার্জেন্ট অপূর্ব। হাত দিয়ে ইশারা করে থামার নির্দেশ দিলেন। পুলিশ কনস্টেবল কিছুটা মেজাজ দেখিয়ে হাত দিয়ে সামনে থেকে সরে যাওয়ার ভঙ্গিতে বললেন, সচিব স্যারের গাড়ি, সরে দাঁড়ান, তাড়া আছে, যেতে হবে।

এর পরের দৃশ্য হিন্দি ছায়াছবি ‘নায়ক’কে হার মানায়। একদিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়ে সেই ছবির নায়ক অনীল কাপুরকে যেমন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকায় দেখা গিয়েছে সেই ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা গেল ট্রাফিক সার্জেন্ট অপূর্বকে।
opurboহুঙ্কার ছেড়ে ধমকে উঠে ড্রাইভারকে লক্ষ্য করে বললেন, গাড়ি পেছনে নিন। যে দিক থেকে এসেছেন সে দিক ফেরত যান। সারাদিন রাস্তায় রোদে পুড়ি, বৃষ্টিতে ভিজে যানজট নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি, তারপরও বদনাম হয়। আর আপনাদের মতো সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উল্টোপথে এসে যানজট আরো বাড়ান। নিজেদের ভাবেন কী?

এ সময় সার্জেন্ট বলেন, গাড়ির কাঁচ নামান, দেখি কোন স্যার আছেন। এ কথায় গাড়িচালককে কিছুটা ইতস্তত হতে দেখা গেলে জোরে ধমক দিয়ে জানালার কাঁচ খুলে দেখতে পান ভেতরে কেউ নেই। পুলিশ ও গাড়িচালক সার্জেন্টের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করলে সার্জেন্ট অপূর্ব ট্রাফিকের যুগ্ম কমিশনার বনজ কুমার মজুমদারের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে সচিবের পুলিশ ও গাড়িচালকের ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করার বিষয়টি অবহিত করেন।

opurbo এ সময় উপস্থিত জনতা ট্রাফিক সার্জেন্টের পক্ষে অবস্থান নিলে অবস্থা বেগতিক দেখে সচিবের গাড়িচালক ও পুলিশ কনস্টেবল বাটা সিগন্যালের দিকে দ্রুত চলে যান। উপস্থিত জনতা তাকে সাহসী ভূমিকার জন্য অভিনন্দন জানাতে থাকেন।

অপূর্ব বলেন, চাকরির পরোয়া করি না। যানজট নিয়ন্ত্রণে সারাদিন পরিশ্রম করি। আইন ভঙ্গ যেই করুক তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হই।

যুগ্ম কমিশনারের নির্দেশে গাড়ির নম্বরপ্লেট, গাড়িচালক ও পুলিশ কনস্টেবলের ফটোগ্রাফ তুলে রেখেছি। সচিব গাড়িতে না থাকলেও পুলিশ কনস্টেবলও সচিব হয়ে যান খেদোক্তি করতে করতে প্রস্থান করেন অপূর্ব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত © সংবাদ সবসময় - ২০২৩
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Marshal Host