রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
৩৫০০ পিস ইয়াবাসহ দুই ইয়াবা ব্যাবসায়ীকে আটক করেছে র‍্যাব ১০ যে দেশে গণমাধ্যম স্বাধীন, সে দেশগুলোতে দুর্ভিক্ষ হয়না। অধ্যাপক তামিজী যৌতুক মামলায় পরোয়ানাভুক্ত আসামী রুবেল (২৯) রাজধানীর ডেমরায় র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার। ঠাকুরগাঁওয়ে ১৪ মামলায় পুলিশের হাত থেকে ১ আসামি ছিনতাই ! ঠাকুরগাঁওয়ে বিআরটিএ টাকা ছাড়া মেলে না ড্রাইভিং লাইসেন্স ! কেরানীগঞ্জে জনতার সহায়তায় র‍্যাব পরিচয়ে যাত্রীবাহি বাসে ডাকাতির সময় পাঁচ ডাকাত আটক। ঠাকুরগাঁওয়ে গার্ল গাইডস এসোসিয়েশনের মতবিনিময় সভা । ঠাকুরগাঁওয়ে “মির্জা রুহুল আমিন” স্মৃতি টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সংবাদ সম্মেলন প্রতারণা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী জিল্লুর (৩২) রাজধানীর লালবাগ থানা এলাকায় র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে মূল্যায়ণের দাবি অব্যাহত। ড. মাহামুদুর রহমান এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন।

হাজার হাজার টাকায় মিলছে এইচ এস সি প্রশ্ন ফাঁস!

আসন্ন এইচ এস সি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। শনিবার বিকেল ৪টায় র‌্যাব-১ এর একটি দল রাজধানীর তেজগাঁও লিংক রোড এলাকা থেকে তাদের আটক করে।

আটকরা হলেন- মিজানুর রহমান মিলন (২৪) ও রাফসান চৌধুরী (২৮)। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রশ্ন ফাঁসে ব্যবহৃত কয়েকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন চেক করে প্রশ্ন ফাঁসের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।

র‌্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতার মিজানুর রহমান ২০১৫ সালে কুড়িগ্রাম থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ফেল করে। এরপর থেকেই সে এ কাজে জড়িয়ে পড়ে।

২০১৫ সালে জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ছাড়াও পরীক্ষার রেজাল্ট পরিবর্তনের কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।

আটক মিজান নিজেকে ঢাকা বোর্ডের কর্মচারী এবং বকশিবাজার এলাকায় বসবাস করত বলে জানায়।

সে ফেসবুকের একাধিক একাউন্ট থেকে প্রশ্ন সরবরাহ করবে বলে আগাম পোস্ট দিত এবং এজন্য অগ্রিম টাকা বিকাশের মাধ্যমে চাইত। অনেক পরীক্ষার্থী প্রশ্ন পাওয়ার আশায় বিকাশের মাধ্যমে লেনদেন করত। এ ক্ষেত্রে মিজান কাউকে পূর্বের বিভিন্ন বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কাটছাঁট করে সরবরাহ করত। আবার মাঝে মাঝে ফেসবুকের বিভিন্ন লিংক থেকে প্রাপ্ত প্রশ্ন সরবরাহ করত। প্রশ্নপত্র বাবদ সে ৫০০ থেকে ২০ হাজার টাকা নিত বলে স্বীকার করেছে। এ পর্যন্ত আনুমানিক সে ৮/৯ লাখ টাকা প্রশ্ন সরবরাহের নামে গ্রহণ করেছে।

অপর আটক রাফসান চৌধুরী এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর থেকেই এক নিকট বন্ধুর মারফতে এ কাজে জড়ায়। সে প্রশ্ন ফাঁসসহ রেজাল্ট পরিবর্তনের জন্য মোটা অংকের টাকা বিকাশের মাধ্যমে গ্রহণ করত।

মিজানের মতো একই কৌশলে সে প্রথমে ফেইসবুকে প্রশ্ন সরবরাহের আশ্বাস দিয়ে অগ্রিম টাকা নিত। সে ২০১৬ সাল থেকে এই পর্যন্ত আনুমানিক ৩-৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানায়।

রাফসানকে ২০১৬ সালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে আটকের পর সাত মাস কারাভোগ করে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত © সংবাদ সবসময় - ২০২৩
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Marshal Host