মঙ্গলবার, ১৭ Jun ২০২৫, ০৪:২১ পূর্বাহ্ন
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে বুড়িগঙ্গায় নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত।
কেরানীগঞ্জ সংবাদদাতা মোঃ ইমরান হোসেন ইমু।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ( বিআইডব্লিউটিএ’র) উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ রোইং ফেডারেশনের সহযোগিতায় বুড়িগঙ্গার নদীতে এ নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়।
ইট পাথরের এই শহরে ঢাকাবাসীকে একটু বিনোদন দেওয়ার জন্য নৌকা বাইচের আয়োজন করা হয়। বাইচে অংশগ্রহণ করে নবাবগঞ্জ রোইং ক্লাব ও নৌকা বাইচ ঐতিহ্য রক্ষা কমিটির ৭টি আকর্ষণীয় বিশালাকৃতির ঘাসি (ছিপ) নৌকা। বিশাল এ আয়োজনে পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয় মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, এলইডি টেলিভিশন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল।
নৌকা বাইচ ঐতিহ্য রক্ষা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রাশিম মোল্লা বলে, ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌকা বাইচে নবাবগঞ্জ রোইং ক্লাবের ৭টি নৌকা অংশগ্রহণ করে। বাইচে কয়েক লাখ মানুষ বুড়িগঙ্গা নদীর দুই পাড়ে জমায়েত হয়। হয় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এদেশে নৌকা বাইচ গণবিনোদন হিসেবে কবে প্রচলন হয়েছিল তার সঠিক ইতিহাস পাওয়া যায় না। তবে এ বিষয়ে দুটি জনশ্রুতি রয়েছে।
একটি জনশ্রুতি জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রাকে কেন্দ্র করে। জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রার সময় স্নানার্থীদের নিয়ে বহু নৌকার ছড়াছড়ি ও দৌড়াদৌড়ি পড়ে যায়। এতেই মাঝি-মাল্লা-যাত্রীরা প্রতিযোগিতার আনন্দ পায়। এ থেকে কালক্রমে নৌকা বাইচ শুরু। দ্বিতীয় জনশ্রুতি পীর গাজীকে কেন্দ্র করে। ১৮ শতকের শুরুর দিকে কোনো এক গাজী পীর মেঘনা নদীর এক পাড়ে দাঁড়িয়ে অন্য পাড়ে থাকা তার ভক্তদের কাছে আসার আহ্বান করেন। কিন্তু ঘাটে কোনো নৌকা ছিল না। ভক্তরা তার কাছে আসতে একটি ডিঙ্গি নৌকা খুঁজে বের করেন। যখনই নৌকাটি মাঝ নদীতে এলো তখনই নদীতে তোলপাড় আরম্ভ হলো। নদী ফুলেফেঁপে উঠলো। তখন চারপাশে যত নৌকা ছিল তারা খবর পেয়ে ছুটে আসে। তখন সারি সারি নৌকা একে অন্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটে চলে। এ থেকেই নৌকা বাইচের গোড়াপত্তন হয়। মুসলিম যুগের নবাব-বাদশাহদের আমলে নৌকা বাইচ বেশ জনপ্রিয় ছিল। অনেকে মনে করেন, নবাব বাদশাহদের নৌবাহিনী থেকেই নৌকা বাইচের গোড়াপত্তন হয়।