মঙ্গলবার, ২৪ Jun ২০২৫, ০৬:১৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
৩৫০০ পিস ইয়াবাসহ দুই ইয়াবা ব্যাবসায়ীকে আটক করেছে র‍্যাব ১০ মাদক আইনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পরোয়ানাভুক্ত আসামী গফুর (৩৮) রাজধানীর শনির আখড়া হতে র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার। কেরানীগঞ্জে ১৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ১২০ পুরিয়া হেরোইন সহ গ্রেফতার ০৪ জন। বরিশাল ৪ আসনের ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীদের ভাবনা নিয়ে মতবিনিময় ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বরিশাল-৪ আসনে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির অগ্রদূত মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ কেরানীগঞ্জে পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষণ: গ্রেফতার-১জন। যশোর মনিরামপুর ২৪ ঘন্টার আগেই চঞ্চল্যকর ছিনতাইয়ের রহস্য : আটক-৭। চকরিয়া পেকুয়ার ৭ মামলায় সাবেক এমপি জাফর আলমের ১৮ দিনের রিমান্ড মন্জুর ছায়া স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ফায়ার সার্ভিসের ডিজি জাহিদ, তার সহযোগী ৫ ই আগষ্টের পরবর্তীতে মামলার আসামি পরিচালক অপারেশন তাজুল ইসলাম চৌধুরী ও ডিজির স্টাফ অফিসার শামস আরমান এ কথা দাবি করেন। স্বৈরাচারের সিন্ডিগেটের কবলে ফায়ার ফাইটার সাদ্দাম হোসেন। স্বৈরাচার অটোরিক্সা চালক মাহবুব হত্যা মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আসামী সোহাগ (৩০) লালবাগে র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার।

নির্বাচনে মাঠে থাকবে পৌনে ২ লাখ পুলিশ সদস্য

কাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য নির্বাচনের সময় মাঠে থাকবে প্রায় পৌনে দুই লাখ পুলিশ সদস্য। কাউকে দুই শিফট আবার কাউকে আরও বেশি সময় ডিউটি করতে হবে। ইতোমধ্যে সারাদেশের বিভাগীয় রেঞ্জের পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ও জেলা পুলিশ সুপারদের (এসপি) ঢাকায় দুই দফা ব্রিফ করেছে নির্বাচন কমিশন ও আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পুলিশের মোট জলবল ২ লাখ ১০ হাজার। নির্বাচনে প্রার্থী, ভোটার, প্রিসাইডিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসারসহ প্রত্যেককে নিরাপত্তা দিতে ইতোমধ্যে নির্বাচনী ছক তৈরি করেছে পুলিশ। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে পুলিশ সদস্যরা নিজেদের ও অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে। নির্বাচনে সেনাবাহিনী, বিজিবি, আনসার, র‌্যাব সদস্যরা মাঠে থাকলেও নিরাপত্তার মূল দায়িত্ব থাকবে পুলিশের ওপর।

পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (অপারেশন্স) আনোয়ার হোসেন বলেন, সারাদেশে নির্বাচন আগে এবং পরে প্রায় পৌনে দুই লাখ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। তাদের মধ্যে অনেককে আট থেকে বারো ঘণ্টা মাঠে কাজ করবেন, কেউ দুই শিফটে আঠারো ঘণ্টা, আবার কাউকে এর চেয়েও বেশি দায়িত্ব পালন করতে হতে পারে।

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, নির্বাচনের দুই এক দিন আগ থেকে নির্বাচনের ২-৩ দিন পর পর্যন্ত রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়, সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়, কেন্দ্রে ব্যালট ও ব্যালট বাক্স আনা-নেয়াসহ অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ। গুরুত্বপুর্ন এ সময় অতি জরুরি এবং একান্তই পারিবারিক কোনো সমস্যা না থাকলে কাউকে ছুটি দেয়া হচ্ছে না।

আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ, র‌্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর অংশ হিসেবে আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা। ২৪ তারিখ থেকে প্রতি জেলায় ছোট আকারে সেনাবাহিনীর টিম পাঠাবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের বাইরে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবেন সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। র‌্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে টহল দেবেন। সেনাবাহিনীর প্রতিটি টিমের সঙ্গে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, সেনাবাহিনী ভোট কেন্দ্রের ভেতরে বা ভোট গণনা কক্ষে ঢুকতে পারবে না। তবে রিটার্নিং বা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা চাইলে স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিমের সদস্যরা প্রয়োজনে ভোট কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, ভোটকেন্দ্র পাহারায় মেট্রোপলিটন এলাকার সাধারণ কেন্দ্রে পুলিশ, আনসারের মোট ১৬ জন সদস্য নিযুক্ত থাকবেন। এর মধ্যে অস্ত্রসহ পুলিশ ৩-৫ জন, অঙ্গীভূত আনসার ১১ জন ও গ্রাম পুলিশের একজন সদস্য নিযুক্ত থাকবেন। এসব এলাকার গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে মোট ১৭ জন ও অস্ত্রসহ ৪-৬ সদস্য নিযুক্ত থাকবেন। এর মধ্যে অস্ত্রসহ পুলিশ থাকবে নূন্যতম চারজন।

আরও পড়ুন: নৌকায় ভোট দিন, উন্নত জীবন দেব: প্রধানমন্ত্রী

মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশের মোট ১৪ জন সদস্য নিযুক্ত থাকবেন। এর মধ্যে অস্ত্রসহ পুলিশ একজন, অঙ্গীভূত আনসার ১২ জন ও গ্রাম পুলিশের দু-একজন সদস্য নিযুক্ত থাকবেন। এসব এলাকার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে মোট ১৫ জন ও অস্ত্রসহ তিন-চারজন সদস্য নিযুক্ত থাকবেন। এর মধ্যে অস্ত্রসহ পুলিশ সদস্য থাকবেন ন্যূনতম দু’জন। অন্যদিকে, পার্বত্য এলাকা, হাওর, দ্বীপাঞ্চলকে বিশেষ এলাকা চিহ্নিত করে সেসব এলাকায় পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশের মোট ১৫ জন সদস্য নিযুক্ত থাকবেন। এর মধ্যে অস্ত্রসহ পুলিশ দু’জন, আনসার ১২ জন (অস্ত্রছাড়া) ও গ্রাম পুলিশের ১-২ জন সদস্য নিযুক্ত থাকবেন। এসব এলাকার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে মোট ১৬ জন ও অস্ত্রসহ ৪-৫ সদস্য নিযুক্ত থাকবেন। এর মধ্যে অস্ত্রসহ পুলিশ সদস্য থাকবেন ন্যূনতম তিনজন। ভোট কেন্দ্রে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা ভোট গ্রহণের দু’দিন আগে এবং ভোটের দিন ও ভোটের পরের দিনসহ চারদিন মাঠে থাকবেন। আনসার সদস্যরা ভোটগ্রহণের তিনদিন আগে মাঠে নেমে পরের দিন পর্যন্ত থাকবেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত © সংবাদ সবসময় - ২০২৩
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Marshal Host