শনিবার, ২৮ Jun ২০২৫, ০২:১৭ পূর্বাহ্ন
কেরানীগঞ্জে মাদ্রাসা পড়ুয়া শিশুকে পিটিয়ে যখম করেছে বৃত্তশালি মোসলেম খাঁন, ভুক্তভোগী পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি।
কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
কেরানীগঞ্জ মডেল টাউন এলাকার বি-ব্লক ৩৬ নাম্বার বাড়ির ভাড়াটিয়া মুয়াজ (৭) নামে মাদ্রাসায় পড়ুয়া এক শিশুকে বেদর নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। পাশের বাড়ি মালিক মোসলেম খাঁন এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা যায়।
গত শুক্রবার বিকেল চারটায় মাদ্রাসা ছাত্র মুয়াজ পাশের বাড়ির খোলা ছাদে ঘুড়ি উড়াতে উঠলে বাড়ী মালিক মোসলেম খাঁন তাকে ধরে কিল, ঘুষি, লাথি, মারে এতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে শিশু ছেলেটি। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
শিশুটির বাবা মারধরের ঘটনাটি সাংবাদিকদের কাছে জানালে, মোসলেম খানের বড় ছেলে মোহাম্মদ সেলিম , তাহের মোল্লা, মোশারফ হোসেন ও হামিদ শিশুটির পরিবার কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ,মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
অসহায় ভুক্তভোগী মুয়াজ বিচারহীনতায় ভুগছেন। শিশুটির বাবা আলাউদ্দিন বিচার চাইলে মোসলেম খাঁন স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী বাড়ি মালিককে সাথে নিয়ে শিশুটির বাবা কে ভয় ভীতি দেখিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ করে বলেন, মডেল টাউন বি ব্লক এর ৩৫ নাম্বার বাড়ির মালিক ঘাতক মোসলেম খাঁন পূর্ব থেকেই বাজে স্বভাবের মানুষ। বিনা কারণেই ঝগড়া বিবাদ করে সাধারণ মানুষকে গালিগালাজ করেন। শুক্রবার বিকেলে মাদ্রাসা ছাত্র মুয়াজ তার বাড়ির ছাদে ঘুড়ি উড়াতে উঠলে শিশুটিকে বেধর মারধর করেছেন। এতে মুয়াজ ৩দিন যাবত ঘরে ব্যথায় ও জ্বরে ভুগছেন। মোসলেম খাঁন কালীগঞ্জ এলাকার ধনী গার্মেন্টস ব্যবসায়ি বলে তাকে কেউ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছে না।
মুয়াজ এর বাবা আলাউদ্দিন বলেন, আমার ছেলে মাদ্রাসার ছাত্র। করনার কারণে মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় মুয়াজ বাড়িতেই থাকেন । হঠাৎ করে মুয়াজ মোসলেম খাঁন এর বাড়ির ছাদে ঘুড়ি উড়াতে উঠলে তিনি আমার ছেলেকে এমন ভাবে মারধর করেন তিনদিন যাবৎ ব্যাথায় ও জ্বরে ভুগছেন। আমি গরিব বলে এর কোন বিচার পাইনি। আমার ছেলে এখন অসুস্থ। আমার আয়-রোজগার না থাকায় আমি তাকে ভালো চিকিৎসা করাতে পারছি।
মুয়াজ এর বাবা একজন গৃহশিক্ষক। টিউশনি করে সংসার চালান। মডেল টাউন এলাকার বি ব্লক এর হাজী লিটন সাহেবের বাড়ির ভাড়াটিয়া। কুমিল্লা জেলা থেকে দীর্ঘদিন যাবত ঢাকায় এসে স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন।
শিশু মুয়াজ বলেন, মাদ্রাসা বন্ধ থাকার কারণে আমি ঘুড়ি উড়াতে মোসলেম খাঁন এর বাড়ির ছাদে উঠেছি। তিনি প্রথমে আমার ছোট ভাইকে মারে এবং পরে আমাকে ওর চেয়ে বেশি মারে। এতে আমার পিঠে প্রচণ্ড ব্যাথা। নড়াচড়া করতে পারিনা। আমিও উনার শাস্তি চাই।
ঘাতক মোসলেম খাঁনের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে, মারধরের ঘটনাটি সত্য বলে নিশ্চিত করেছেন। তার বাড়ির ছাদে উঠেছে বলে তিনি শিশুটিকে মেরেছেন।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী মাইনুল ইসলাম (পিপিএম) বলেন , অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।