রবিবার, ০৬ Jul ২০২৫, ০৪:৩১ অপরাহ্ন
কেরানীগঞ্জে জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত।
নিজস্ব প্রতিবেদক।
সংস্কার নামে যদি কোন কুসংস্কার করা হয়, তাতে বিএনপি বসে থাকবে না
—————————————————————————- গয়েশ্বর।চন্দ রায়
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ রায় বলেছেন, বিএনপি সংস্কার মানে কিন্তু কুসংস্কার মানেনা, সংস্কারের নামে কুসংস্কারের মধ্যদিয়ে জনগণের কোনো অধিকার যদি বুলন্ঠিত হয়, বা জনগণ যদি প্রতারিত হয় তাহলে বিএনপি নেতারা বসে থাকবেনা। তিনি আরো বলেন, আমরা ১৭ বছর নির্বাচনের জন্য আমরা লড়াই করেছি, গণতন্ত্র পূর্ণ উদ্ধারের চেষ্টা চেয়়েছি। অনেকে বলে বিএনপি ১৬ বছরে কিছু করতে পারেনি তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিএনপি তা ১৬ দিনে করতে পারে, কিন্তু ভদ্রলোক ইউনুস সাহেব দিকে বিবেচনা করে তা করবে না। আজকে যারা ছাত্র রাজনীতি করছেন, আপনাদের রাজনীতি করার অধিকার রয়ে়ছে। এদেশে আপনাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তবে সুনাম নষ্ট করবেন না।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যদি দেশের সবাইকে নিযয়ে সংস্কার করত, তাহলে তাকে বিপদে পড়তে হত না। তাদের থেকেও শিক্ষা নিতে হবে। তারেক রহমান লন্ডন থেকে বসে দেশে মানুষকে এক করতে পেরেছে। যেমনী জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম থেকে বাংলাদেশের মানুষকে একত্রিত করেছিল। তাই জিয়াউর রহমান অমর। তাকে কখনো ভুলা যাবে না। এদেশের মানুষ কখনো তাকে ভুলতে পারে না। তিনি জামায়ে়ত সম্বন্ধে বলেন জামায়াত আর আওয়ামী লীগ একই সুতায় গাথা। যারা সংস্কার নামে নির্বাচন চায় না তারা ভারতের দালাল। যথাসময়ে সংস্কার ও দ্রæত সময়ে জাতীয় নির্বাচনের দাবির লক্ষ্য গত কাল শনিবার বিকেলে চুনকুটিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ উপজেলার বিএনপির ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এইসব কথা বলেন। সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা এখন সুখের ঘরে দাঁড়িয়ে় ভুলে গেছি আয়না ঘরের কথা, ভুলে গেছি নিপীড়নের কথা। আমরা এখন নিজেরাই নিজেদের সাথে লড়ছি। আজ যারা যারা সংস্কার সংস্কার করছেন, তাদের জনগণের সাথে সম্পর্ক নেই। আমরা অনুপাতের নির্বাচন চাই না। তিনি আরো বলেন আমরা ছাত্রদের সাফল্য কামনা করি তারা এখন ক্ষমতা লোভী। চেতনা বিক্রি করে লাভ হবে না, এটা শেখ হাসিনার লক্ষণ। আরো কয়েকটি দল অনুপাতে নির্বাচন চায় আওয়ামী লীগের দোসর। তারা ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে হাতপাখা দিয়ে় বাতাস করেছিল। ১৪ দলের নামে যারা বছর বছর সরকারকে উৎসাহ উদ্দীপনা দিয়েছে, তারা সংস্কার সাথে জড়িত। তারেক রহমানের ৩১ দফায় সকল সংস্কার রয়েছে। আমরা ৩১ দফা বাস্তবায়ন করব, যদি জনগণ আমাদেরকে নির্বাচিত করে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়েগেছে, এখন দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। ১৭ বছর সংগ্রাম করে যে নেতার পেছনে লড়াই করেছেন তাকে ঢাকা ৩ আসন থেকে পার্লামেন্টের সদস্য বানাবো। নির্বাচন নিয়ে় আর কোন অনিশ্চিতা নেই। যারা নির্বাচনকে ভয় পায়, তারা নির্বাচন থেকে দূরে সরে রয়। জামাত ইসলামী বাংলাদেশ ক্ষণে ক্ষণে তাদের মত পরিবর্তন হয়। জামাতের মন হচ্ছে ইংল্যান্ডের বায়ুর মতো ক্ষনস্থায়ী। তাদেরকে জনগণ বিশ্বাস করে না। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশের পরিবর্তন ভারত কখনো চায় না। তারা চায় বাংলাদেশে অস্থিতিশীল অবস্থায় থাকুক। জামাতের রাজনীতি ভুলে ভরা। তাদের ভুলের কারণে তাদের ১০ নেতার ফাঁসি হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, বিএনপির সমাবেশ হলেই আওয়ামী লীগ শাস্তি সমাবেশের ডাক দিতো এবং তাতে অংশ নিতো এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। হাসিনার আমলে ন্যায় বিচার ছিলো সোনার হরিণ। তিনি আরও বলেন, ভারত শেখ হাসিনাকে বেশি দিন আড়াল করে রাখতে পারবেনা, প্রয়োজনে তাকে সেখান থেকে তুলে আনা হবে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বরেছেন, যারা পিআর পিআর করছেন তাদের জনগণের সাথে কোন সম্পর্ক নাই। ৩১ দফা বড় সংস্কার। বিএনপি সংস্কার করতে পারে আপনাদের সাহায্য লাগবেনা।
কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ উপজেলার বিএনপির সভাপতি ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. নিপুন রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশ আরো বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট সুলতান নাসের, কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু,ঢাকা জেলা ছাত্র দলের সভাপতি পাবেল মোল্লাহ, কৃষক দলের সভাপতি জুয়েল মোল্লা, বিএনপি নেতা এড সেলিম চৌধুরী , ওমর শাহনেওয়াজ, এড. মোকােরাম হোসেন সাজ্জাদ , খোরশেদ আলম জমিদার,নূর হোসেন নূরু, হাজী আনোয়ার হোসেন, জয়নাল আবেদিন বাবুল, আরসাদ রহমান সপু, ঈশা খা, আলী হোসেন আলী, আসাদ খান, হাজী মাস্তান, মশিউর রহমান চঞ্চল, এনাতুল্লাহ মেকিং, মাহবুব আলম মামুন, , থানা যুবদল নেতা মাসুদ আলম স্বাধীন, আতিকুর রহমান মানিক, শ্রমিক নেতা মো. শাহীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মো. সোহেল রানা, শামীম, জাসাস নেতা জাহাঙ্গির আলম, তাতীদল নেতা মো হীরা, মহিলা দরের নেত্রী রাজিয়া বেগম প্রমূখ।
এইদিকে
সমাবেশে বিশাল মিছিল নিয়ে উপস্থিত হলেন।
কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি হাজী আনোয়ার হোসেন।