শনিবার, ২৮ Jun ২০২৫, ০৬:৪৭ অপরাহ্ন
কেরানীগঞ্জে হাসনাবাদে অবৈধ নুর হোসেন ব্যাপারী ঘাট
রহস্যজনকভাবে আবার চালু
শামীম আহম্মেদ.
ঢাকার কেরানীগঞ্জে হাসনাবাদ এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠা হাজী নুর হোসেন ব্যাপারী ঘাটটি বন্ধের পর রহস্যজনকভাবে আবার চালু করেছে একটি সংঘবদ্ধচক্র। বিআইডবিøউটিএর নদীর পাড়ে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযানের সময় এই ঘাটটি সম্পুর্নভাবে উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদের পরপরই ঘাটটি পুনরায় চালু হওয়ায় বিআইডবিøউটিএর কার্যক্রম নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। নাম না বলার শর্তে একাধিক ব্যক্তিরা জানেিয়ছেন বিআইডবিøউটিএর কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে একটি স্বার্থান্বেষী মহল এই ঘাটটি অবৈধভাবে চালু করে প্রতিদিন তারা এই ঘাট থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
সরেজমিন প্রতিবেদনে জানা যায়, ঢাকা জুটমিল থেকে শুরু হাসনাবাদ জামে মসজিদ পর্যন্ত সব জায়গার মালিক হচ্ছে হাসনাবাদের ব্যবসায়ী আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম ডিপটি গং। তাদের জায়গার উপরেই গড়ে উঠেছে ইট, বালু, সিমেন্ট, পাথর , সিপটিং, সিলেকশন বালুসহ বিভিন্ন নির্মান সামগ্রীর জমজমাট ব্যবসা। এই ব্যবসাকে কেন্দ্র করে তাদের মালিকানা জায়গার উপর ঘাটটি গড়ে উঠেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী হাজী শাহ আলম, পিয়ার মোহাম্মদ, রাজু মাষ্টার, লাট মিয়া, আল-আমিন, অন্তর, রানা, মোঃ আজমসহ আরো ১০/১২জন সরকারী আদেশ অমান্য করেই ঘাটটি আবার চালু করেছেন। তারা রাতের আধারে এই ঘাট দিয়ে বিভিন্ন জাহাজ, ও ট্রলার থেকে বালু, পাথর, ইট, সিমেন্ট ও অন্যান্য নির্মান সামগ্রী খালাস করে দেদারসে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই জায়গার মালিক আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম ডিপটি গং বারবার তাদের বাঁধা দিলেও তারা কোন কর্নপাত করছেন না। এদিকে গত ফেব্রæয়ারী মাসের শেষের দিকে বিআ্ইডবিøউটিএর উচ্ছেদ অভিযানের সময় ঘাটটি উচ্ছেদ করা হয়। এসময় ঘাটে রাখা ২২ লক্ষ টাকার মালামাল নিলামে বিক্রি করা হয়। এব্যাপারে ওই ঘাটের ব্যবসায়ী আলহাজ্ব শাহ আলম জানান, তারা নিলামকৃত মালামাল বিক্রি করেই ঘাট এলাকা থেকে সরে যাবেন। অপরদিকে বিআইডবিøউটিএর ঢাকা নদী বন্দরের সিনিয়র যুগ্ন পরিচালক আরিফ উদ্দিন খান জানান, তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়। তারা নদীর পাড়ে সীমানা পীলার দিয়েছেন। এই সীমানার ভিতরে কেউ মালামাল রেখে ব্যবসা করতে পারবেন না।