বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:০১ পূর্বাহ্ন
শালীর সাথে পরকীয়ায় স্ত্রীকে হত্যা ৭ মাস পর কঙ্কাল উদ্ধার,
কেরানীগঞ্জ, সংবাদদাতা মোঃ ইমরান হোসেন,
শালীর সাথে পরকীয়ায় স্ত্রীকে হত্যা ৭ মাস পর কঙ্কাল উদ্ধার
শালীর সাথে পরকীয়ার জের ধরে স্ত্রীকে হত্যা করে পাশের ডোবায় লুকিয়ে রাখার সাত মাস পরে সেখান থেকে নিহত স্ত্রীর কঙ্কাল উদ্ধার করেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। নিহত গৃহবধূর নাম মোহনা (২৫)। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী বাস্তা ইউনিয়ন এর বটতলী গ্রামের আব্দুল আউয়াল মিয়ার ছেলে ইকবাল (৩৫) ও নিহতের ছোট বোন আরিফা আক্তার (২০) কে গ্রেপ্তার করলে ইকবালের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী লাশের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজেন্দ্রপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পেছনে চর কদমপুর এলাকার আজিজুলের বাড়ির পাশের ডোবা থেকে নিহত গৃহবধূর কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মোহনা ইকবালের বিয়ের পরে মোহনার মা রহিমা বেগম সংসারের অভাব অনটনের জন্য ছোট মেয়ে আরিফা কে মোহনার বাড়িতে রেখে বিদেশে চলে যায়। এরপর থেকেই ইকবাল ও আরিফার মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক তৈরি হয়। এ ঘটনা জানাজানি হলে আরিফাকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে ইকবালকে নিয়ে মোহনা নিজ গ্রাম ছেড়ে চর কদমপুর আজিজুল মিয়ার বাড়িতে দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতে শুরু করে। কিন্তু ইকবাল ঠিকই তার শালিকা আরিফের সাথে যোগাযোগ অক্ষুন্ন রেখে ছিল। এরই এক পর্যায়ে একদিন ইকবাল মোহনা কে হত্যা করে পাশের ডোবার কাদার মধ্যে লুকিয়ে রাখে। মোহনার মা রহিমা বেগম গত ২২শে নভেম্বর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মোহনার সম্পর্কে জানতে চাইলে ইকবাল তাকে জানায় মোহনা দুই সন্তান রেখে কার সাথে যেন পালিয়ে গেছে। এতে মোহনার মার সন্দেহ হলে সম্প্রতি সে বিদেশ থেকে ফিরে (গত ১১ই জুন) ইকবাল ও আরিফাকে আসামি করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে ১২ই জুন পুলিশ ইকবাল ও আরিফাকে গ্রেফতার করলে তদন্তের একপর্যায়ে ইকবালের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এই লাশের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল কালাম আজাদকে ফোন করা হলেও তিনি তার ফোন রিসিভ করেননি।
তবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) শাহাবুদ্দিন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।