শুক্রবার, ১৮ Jul ২০২৫, ০৫:০১ অপরাহ্ন
করোনার প্রভাব : মানবেতর জীবনযাপন করছেন কেরাণীগঞ্জের প্রতিবন্ধী শিশুরা
মো. ইমরান হোসেন ইমু, নিজস্ব প্রতিবেদক, কেরাণীগঞ্জ : করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত দেশের প্রতিটি জনপদের মানুষ। তাই সংক্রমণ এড়াতে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। হোম করেন্টাইন কিংবা নিরাপদে থাকার নিমিত্তে অঘোষিত লকডাউন বা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সকল ধরনের ব্যবসা বানিজ্য, কলকারখানা ও দোকানপাট। এতেকরে কর্মহীন হয়ে বিপদে পরেছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। এর প্রভাব পড়েছে কেরানীগঞ্জ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের প্রায় দুই শতাধিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পরিবারে। দেশের এই সংকটময় মূহুর্তে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এলাকার অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে এসে দাড়ালেও এসব প্রতিবন্ধী পরিবারের পাশে এসে দাড়ায়নি কেউ। এমনকি তাদের খবরও নিচ্ছেনা কেউ। এমন অভিযোগ প্রতিষ্ঠান প্রধান মো.জাকির হোসেন মাসুমের।
কেরাণীগঞ্জ বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মো.জাকির হোসেন মাসুম বলেন, দারিদ্র বিমোচন ও প্রতিবন্ধকতা দূরীকরনের লক্ষে দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করে আসছি। কিন্তু দেশের এই সংকটময় মূহুর্তে আমাদের পাশে আজ কেউ নেই।
আমাদের এসব অসহায় ও দরিদ্র প্রতিবন্ধী পরিবার গুলোর খবর রাখছেন না কেহই। ফলে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটে এসব অসহায় পরিবারের সদস্যদের। তিনি আরো বলেন স্থানীয় সাংসদ বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের পক্ষ থেকে কেরাণীগঞ্জের ৫০ হাজার অসহায় পরিবারে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেয়া হলেও তাদের তালিকায়ও ঠাই মেলেনি ভাগ্যাহত এসব অসহায় পরিবারের কারোরই নাম। তাই দেশের এই সংকটময় সময়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন এসকল প্রতিবন্ধী পরিবারগুলো।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মো.জাকির হোসেন মাসুম আরো বলেন, আমার ব্যক্তিগত তরফ থেকে যতটুকু পেরেছি এদের খোজ খবর নেয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু আর পারছিনা।
তিনি বলেন, এটি করতে গিয়ে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হচ্ছে। আমরা যেখানেই যাই সেখান থেকেই আমাদেরকে তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। তাই সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা আমাদের এসকল অসহায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য জোড় দাবি জানাচ্ছি