বৃহস্পতিবার, ০৩ Jul ২০২৫, ০৩:০২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
৩৫০০ পিস ইয়াবাসহ দুই ইয়াবা ব্যাবসায়ীকে আটক করেছে র‍্যাব ১০ গণতন্ত্রের শপথে শহীদদের পাশে কেরানীগঞ্জের তরুণেরা। ২৪ কেজি গাঁজাসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ী কেরাণীগঞ্জে র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার ও মাদক বহনে প্রাইভেটকার জব্দ। আনন্দ মুখর পরিবেশে কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবে ফল উৎসব অনুষ্ঠিত চান্দ্রা ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ড কৃষক দলের ২১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা পিবিআই’য়ের অভিযানে, ২ কোটি ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার। ওয়ারী বিভাগের যাত্রাবাড়ী থানা কর্তৃক ৬০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার এবং দুইজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার। চাঁদপুরে নতুনবাজার-পুরানবাজার সেতুর নিচে ময়লার স্তুপ, জনদুর্ভোগ চরমে। মাদক আইনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পরোয়ানাভুক্ত আসামী গফুর (৩৮) রাজধানীর শনির আখড়া হতে র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার। কেরানীগঞ্জে ১৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ১২০ পুরিয়া হেরোইন সহ গ্রেফতার ০৪ জন। বরিশাল ৪ আসনের ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীদের ভাবনা নিয়ে মতবিনিময় ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

গণতন্ত্রের শপথে শহীদদের পাশে কেরানীগঞ্জের তরুণেরা।

গণতন্ত্রের শপথে শহীদদের পাশে কেরানীগঞ্জের তরুণেরা।

কেরানীগঞ্জ ঢাকা।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে  মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জে তিন শহীদের কবর জিয়ারত করেছে জাতীয় যুবশক্তি, এনসিপি এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের।
কেরানীগঞ্জের আগানগর, তেলঘাট ও আব্দুল্লাহপুরে অবস্থিত শহীদ— নাসিব হাসান রিয়ান (আগানগর), মোঃ নাদিমুল হাসান এলেন (তেলঘাট), মোঃ সায়েম হোসেন (আব্দুল্লাহপুর)। এই তিন যুবকের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচির সূচনা হয়। উপস্থিত নেতৃবৃন্দ শহীদদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া করেন এবং একটি দৃঢ় শপথ গ্রহণ করেন—গণতন্ত্র ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তারা অটল থাকবেন।

নেতৃত্বে ছিলেন, জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক শেখ ফয়সাল, কেরানীগঞ্জ উপজেলা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মোঃ আল আমিন মিনহাজ, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও , মুখ্য সংগঠক রতন হোসেন সহ আহত আন্দোলনকারী নিলয় খান ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ।

দোয়ার পর অংশগ্রহণকারীরা এক প্রতিজ্ঞা পাঠ করেন— “শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামবো না, পিছু হটবো না।”

তারা জানান, শহীদদের আত্মত্যাগ আজও তাদের আন্দোলনের প্রেরণা হয়ে আছে। এই জিয়ারত ছিল শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং আন্দোলনের চেতনা জাগিয়ে তোলার একটি নিরব তবে দৃপ্ত উচ্চারণ।

আয়োজকরা বলেন, “এই কবরগুলো কেবল মাটি নয়, এগুলো প্রতিজ্ঞার মিনার। এমন সময় যখন শহীদদের আত্মত্যাগ ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়, তখন এই জিয়ারত আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জুলাই মাস একটি বিপ্লবের প্রতিচ্ছবি।”

কেরানীগঞ্জের শহীদরা ইতিহাসে চিরজাগরুক হয়ে থাকবেন। তাদের স্মরণে তরুণ প্রজন্ম যেন সত্য ও ন্যায়ের সংগ্রামে এগিয়ে যায়—এই ছিল আজকের দিনের মূল বার্তা। “যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন কেরানীগঞ্জের শহীদদের নাম ইতিহাসের পাতায় জ্বলজ্বল করবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত © সংবাদ সবসময় - ২০২৩
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Marshal Host