বুধবার, ১৬ Jul ২০২৫, ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
৩৫০০ পিস ইয়াবাসহ দুই ইয়াবা ব্যাবসায়ীকে আটক করেছে র‍্যাব ১০ কেরানীগঞ্জে কোটি টাকার ইয়াবাসহ চারজন গ্রেপ্তার। ঢাকা জেলা ডিবি (দক্ষিন) কর্তৃক ১৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ৩ জন গ্রেফতার । স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে খুনের ঘটনায় অস্ত্রসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রজ্জব আলি পিন্টু ও সাবাহ করিম লাকি’র আজীবন বহিষ্কারদেশ এবং আইনি ব্যবস্থা নেয়ার উদাত্ত আহবান যুবদলের। ঢাকা জেলা ডিবি (দক্ষিন) কর্তৃক গাঁজা, ইয়াবা এবং হেরোইনসহ ৪জন গ্রেফতার। হাইমচর উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত  খানসামায় সরকারি কোয়ার্টারে থেকেও বাড়ীভাড়া উত্তোলনের অভিযোগ। পত্রিকায় নিউজ প্রকাশের পর আলোচিত সেই কাচ্চি ডাইনিংয়ে ভোক্তা অধিকারের অভিযান সূত্রাপুর থানায় অপরাধ দমনে ওসি সাইফুল ইসলামের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে গতিশীল পুলিশিং বিদ্যালয়ে সহপাঠীর হামলায় আহত ছাত্র, হামলাকারীদের শাস্তির দাবি অভিভাবকের।

ভূমিদস্যু আপেলে অতিষ্ঠ ঢাকা বিসিক এলাকাবাসী

ভূমিদস্যু আপেলে অতিষ্ঠ ঢাকা বিসিক এলাকাবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ করোনা ভাইরাসে সাধারণ মানুষ যখন ঘর বন্দী তখন থেমে নেই ভূমিদস্যুদের দখল বানিজ্য। যেখানেই জমি নিয়ে একটু সমস্যা, একটু ফাঁকফোকর সেখানেই তার উপস্থিতি। চাই সেই সমস্যা টা বাপ-বেটা, স্বামী-স্ত্রী বা ভাই-বোনের মধ্যেই হোক। তার নেওয়া পাওয়ারে অতিষ্ঠ ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার রোহিতপুর ইউনিয়নের নতুন সোনাকান্দা বিসিক শিল্পনগরীর এলাকার লোকজন। সে কোন পদবি নেতা না হয়েও সব নেতাদের উপর চরকা ঘোরান। নিজ ভাই বোন সহ পাড়াপড়শি, আত্মীয় স্বজন, স্থানীয় সাবেক মেম্বার, প্রবাসী, সরকারি দল, বিরোধী দল কেউ বাদ যায়নি তার হয়রানি থেকে। বলছি উপজেলার রোহিতপুর ইউনিয়নের নতুন সোনাকান্দা গ্রামের গ্রাম্য ডাক্তার আনোয়ার হোসেনের ছেলে আপেল মাহমুদ ওরফে “পাওয়ার” আপেলের কথা।

প্রায় ১০/১৫ বছর আগে মামলা, জমি দখল আর পাওয়ার বানিজ্যে আলোচনায় আসে আপেল। তার প্রথম শিকার লাখিরচর গ্রামের আনোয়ার গং। অত:পর ভাষানচর গ্রামের সক্কা মাদবর, বাদশা মাদবরের ছেলে হিলেম এবং মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে আব্দুল ওহাব ও রাজু, মৃত শাহাজালাল মেম্বার, প্রবাসী মোকবুল-বিল্লাল হোসেন গং, ইসমাইল মাষ্টার, রিক্সা চালক আজিজুল, তাজুল, সোহরাব মোল্লাহ গং এবং সর্বশেষ তার শিকার আর আপন চাচাত ভাই জাকির-আলী গং। সাক্ষী দেওয়ার নাম করে হতদরিদ্র মোঃ ফয়জল হকের জমি লিখে নেওয়ার অভিযোগ আছে তার ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে। দলমত নির্বিশেষে বিশাল এক বাহিনী থাকায় ভয়ে মুখ খুলতে চায়না এলাকাবাসী। তবে কেউ কেউ জীবন বাজি রেখে আপেল গংদের বিরুদ্ধে করেছে মামলা। স্থানীয় কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় আছে অনেক অভিযোগ ও সাধারণ ডাইরি। তবে এখনো পর্যন্ত কোন বড় রকমের ঝামেলায় না পরায় বেড়েই চলছে তার দখল আর পাওয়ার বানিজ্য।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আপেল ও তার বাহিনী ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি জায়গায় দখলে নিয়েছে। লাখিরচরের আনোয়ার গংদের যায়গায় ঘর নির্মাণ করেছে, প্রবাসী মোকবুল হোসেন ও তার ভাইদের যায়গায় তাদের ওয়ালের উপড়ে ওয়াল নির্মাণ করে দখল করতে চেষ্টা চালাচ্ছে। পাশের বাড়ীর জসিমউদদীন, ইসমাঈল মাষ্টাররাও আছেন ভয়ে। যে কোন সময় বাড়িতে লেগে যেতে পারে সাইনবোর্ড। মৃত আব্দুল খালেকের ছেলেদের জমিতে রাতের আঁধারে দেওয়াল করার অভিযোগও আছে থানায়। এর আগে নতুন সোনাকান্দা গ্রামের মৃত শাহাজালাল মেম্বারের জমিতেও লাগিয়েছেন সাইনবোর্ড, তার সাইনবোর্ডের সাক্ষি বহন করছে সোহরাব মোল্লাহ, হারুন, সক্কা মাদবর ও লালবাগ থেকে আসা তারেক গংদের বাড়ীও।

অভিযোগকারীদের মধ্যে জাকির হোসেন জানান, আমি ও আমার ভাই আলি হোসেন বিদেশে থাকাকালীন সময় কয়েক দফায় প্রায় ৫০ লক্ষ্য টাকা দেই আপেল কে। অংশিদারের ভিত্তিতে জমির ব্যবসা করার কথা বলে টাকা এনে মানুষের দুই নাম্বার জমি কিনে আমাকে ও আমার ভাই কে বেকায়দায় ফেলে। এমতো অবস্থায় কোথাও জমি বিক্রি করতে না পারায় আমরা বহু ক্ষতির মুখে আছি। তার কাছে টাকা চাইলে সে তার দলবল নিয়ে আমাদের হয়রানি করে। কিছু দিন আগে আমার স্কুলের দুটি দোকানও ভাংচুর করে আপেল বাহিনী। আমরা এই ভূমিদস্যুর হাত থেকে পরিত্রাণ চাই

আরেক ভুক্তভোগী মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে মোঃ রাজু জানান, সম্প্রতি প্রথম রোজার সেহেরী রাতে আনুমানিক ০৩ টার দিকে বিশাল দলবল নিয়ে আমাদের জমি দখল করার উদ্যেশ্যে ওয়াল নির্মাণ শুরু করে আপেল বাহিনী। এর আগে আমাদের কাছে নানান ভাবে চাঁদাদাবি করে আসছিলো তারা। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় রাতের আধারে ভুমিদস্যু আপেল ৩০-৪০ জনের ক্যাডার বাহিনী নিয়ে জমিতে দেয়াল নির্মাণ করে। এর আগে আমাকে ও আমার পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকিও প্রদান করে আপেল বাহিনী।
অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে ও জীবন রক্ষা চেয়ে বিভিন্ন সময় আমরা থানায় ও উপজেলা প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগ করি। স্থানীয় বিচারের নামে প্রহসনের শিকার হয়েছি। একটু ঝামেলায় ফেলতে পারলেই মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় বাহিনী। আমরা এর থেকে মুক্তি চাই

আরেক ভুক্তভোগী ফজল হক বলেন, স্থানীয় আপেল মাহমুদ ও তার সাথে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আমাকে আমার ভাতিজির জমির সাক্ষী দেওয়ার নাম করে উপজেলায় নিয়ে আমার একমাত্র সম্ভব ৪ শতাংশ জায়গা লিখে নেয়। তখন আমি বুঝতে না পাড়লেও ২০/২৫ দিন পর এক লোক এসে আমার জায়গা তার বলে দাবি করে এবং বুঝিয়ে দিতে বলে। এমত অবস্থায় আমি বাড়ী ছাড়ার ভয়ে আছি। আমি এর প্রতিকার চাই।

এব্যপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামরুল হাসান সোহেল জানান, তার ব্যপারে আমরা একাধিক অভিযোগ পেয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে তাকে ফোনে সাবধান করে দিয়েছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত © সংবাদ সবসময় - ২০২৩
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Marshal Host