শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশ গণতন্ত্রের প্রসব বেদনায় ভূগছে
———— গয়েশ্বর।
শামীম আহম্মেদ,কেরাণীগঞ্জ (ঢাকা) :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্রের প্রসব বেদনায় ভূগছে। একটি গর্ভবতী মা যে পর্যন্ত সন্তান ভূপৃষ্ঠ না হয়, সে পর্যন্ত মা শঙ্কামুক্ত নয়। তেমনই বাংলাদেশ নির্বাচন না হলে, দেশে গণতন্ত্র শঙ্কামুক্ত নয়। তাই দেশে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দরকার। ২৪শের আন্দোলনের ছেলেপেলেদের নাম দেশে লিখা থকবে। তাদের সালাম জানাই। জুলাই চেতনা, তাদের আত্মদান, তাদের সম্মান তা কখনো ভুলার নয়। যারা জুলাইয়ে়র প্রকৃত যোদ্ধা তারা ঘরে ফিরে গেছে। আর যারা সংস্কার নামে বাড়াবাড়ি, ও যৌক্তিক পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাওয়া, তাদের এই ছেলেমানুষের কারনে দেশে নির্বাচন পন্ড হলে তাদের ক্ষমা করা হবে না। ছেলের বউকে না দেখে যেমন বিয়ে সম্ভব হয়না, তেমনি প্রার্থী না দেখে ভোট দেওয়া যাবে না। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, তার একটি উদাহরণ।
গত কাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কেরাণীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রাঙ্গনে কেরাণীগঞ্জ উপজেলা দক্ষিণ শাখার বিএনপির ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এইসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, হাসিনা পালিয়ে গেছে দেশ ছেড়ে একাধিকবার। কখনো খালেদা জিয়া পালায়নি। জিয়াউর রহমান শুধু একটি দেশ গঠন করেননি তিনি একটি জাতী গঠন করেছিলেন। তিনি আরো বলেন আজকে শুধু বিএনপির জন্মদিন না, আজকে দেশের দেশপ্রেমিকদের জন্মদিন। তারেক রহমান বলেছিলেন জিয়াউর রহমান আমার শুধু পিতাই নন, সে আমার শিক্ষক। আমি তার একজন ছাত্র। তাই তারেক রহমান ভুল করবে না। সে সঠিক ভাবে এগিয়ে যাবে । গয়েশ্বর চন্দ্র নিজের সমন্ধে বলেন, একটি বাচ্চার জন্ম লগ্নের কান্নার আওয়াজ কখনো ভুলার নয়। তেমনই আমি বিএনপির জন্মলগ্ন থেকে আছি। আমি থাকবো। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থাকবো।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিনা রহমান তার প্রধান বক্তার বক্তব্যে বলেন, বিএনপির ৪৭ বছরে বিএনপির পাশে আপনারা ছিলেন, বিএনপির এই অগ্রযাত্রায় আপনারা অংশীদার। বিএনপি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া দল। বেগম খালেদা জিয়া এই দলটিকে একটি গনতন্ত্র উপহার দিয়ে ছিলো। সেই খালেদা জিয়াকে মেরে ফেলার জন্য চেস্টা করেছিলো। বেগম খালেদা জিয়া যখন কারাাগারে ছিলো তখন দীর্ঘ আট হাজার মাইল দূর থেকে বিএনপিকে নেতৃত্ব দেন তারেক রহমান। তিনি আরো বলেন জনগনের ক্ষোভ ছিলো ডাইনিকে সড়ানোর জন্য। হাসিনার দোসররা এখনো সক্রিয়, তারা এখনো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমারা স্বৈরাচার পতন ঘটিয়েছি কিন্তু ভোটার আদায় অধিকার আদায় করতে পরিনাই। তাই আগামী নির্বাচনে আপনারা শান্তি পূর্ণ ভোটের মাধ্যমে বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ভোট দিয়ে বিজয় করে সংসদে পাঠাবেন।
আলোচনা সভাটি সভাপতিত্ব করেন, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কেরাণীগঞ্জ উপজেলা দক্ষিণ শাখার বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী। কেরাণীগঞ্জ উপজেলা দক্ষিণ শাখার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু এর সঞ্চালনায় আয়োজিত আলোচনা সভায় অনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কেরাণীগঞ্জ উপজেলার বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট সুলতান নাসের, বিএনপির নেতা ওমর শাহনেওয়াজ, আরশাদ রহমান শপু, মোকাররম হোসেন সাজ্জাদ, ঈশাখা, জয়নাল আবেদিন বাবুল। যুবদল নেতা মাহাবুব আলম স্বাধীন, আতিকুর রহমান মানিক, ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি পাবেল মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মো সোহেল রানা, শ্রমিকদলের নেতা মো শাহীন, মহিলা দলের নেত্রী নারগিস বেগম প্রমূখ। আলোচনা সভায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের একটি প্রমাণ্যচিত্র পদর্শন করা হয়।