বৃহস্পতিবার, ১০ Jul ২০২৫, ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
৩৫০০ পিস ইয়াবাসহ দুই ইয়াবা ব্যাবসায়ীকে আটক করেছে র‍্যাব ১০ খানসামায় সরকারি কোয়ার্টারে থেকেও বাড়ীভাড়া উত্তোলনের অভিযোগ। পত্রিকায় নিউজ প্রকাশের পর আলোচিত সেই কাচ্চি ডাইনিংয়ে ভোক্তা অধিকারের অভিযান সূত্রাপুর থানায় অপরাধ দমনে ওসি সাইফুল ইসলামের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে গতিশীল পুলিশিং বিদ্যালয়ে সহপাঠীর হামলায় আহত ছাত্র, হামলাকারীদের শাস্তির দাবি অভিভাবকের। ৬ই জুলাই রোজ রোববার লালবাগ থানা বিএনপি ২৩ নং ওয়ার্ডের সভাপতি সাঈদ হোসেন সোহেলের ১ম মৃত্যুবার্ষিকী কেরানীগঞ্জে জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গণতন্ত্রের শপথে শহীদদের পাশে কেরানীগঞ্জের তরুণেরা। ২৪ কেজি গাঁজাসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ী কেরাণীগঞ্জে র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার ও মাদক বহনে প্রাইভেটকার জব্দ। আনন্দ মুখর পরিবেশে কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবে ফল উৎসব অনুষ্ঠিত চান্দ্রা ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ড কৃষক দলের ২১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

খানসামায় সরকারি কোয়ার্টারে থেকেও বাড়ীভাড়া উত্তোলনের অভিযোগ।

খানসামায় সরকারি কোয়ার্টারে থেকেও বাড়ীভাড়া উত্তোলনের অভিযোগ!

খানসামা (দিনাজপুর) দিনাজপুর

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় সরকারি বাসভবনে থেকে দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে অবৈধভাবে বাসাভাতা গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর মো. মোর্শেদ আলম শাহ্‌-এর বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৬ জানুয়ারি খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে উপজেলা পরিষদের রূপালি ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেন তিনি। পরে বরাদ্দকৃত কক্ষসহ আরও দুটি কক্ষ নিয়ে তিনি স্বপরিবারে সেখানে বসবাস শুরু করেন।

কিন্তু সরকারি কোয়ার্টারে বসবাসের পরও তিনি তার মূল বেতনের সঙ্গে বাসাভাতা হিসেবে ২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪ টাকা উত্তোলন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যা পরিষ্কারভাবে সকল কর্মচারী চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০০৯ -এর বিধান লঙ্ঘন।

উক্ত আদেশের ধারা (২) অনুযায়ী লেখা রয়েছে তবে, যারা সরকারি বাসস্থানে বসবাস করেন, তারা এই বাড়িভাতার অধিকার রাখবেন না।

(৩) ১ জুলাই ২০১৫ হতে সরকারি বাসস্থানে বসবাসরতদের মূল বেতনের ৫%-৭.৫% হারে বাড়িভাড়া কর্তনের বিধানও রহিত করা হয় এবং পূর্বে কাটা অর্থ সমন্বয়যোগ্য বলে ঘোষিত হয়। এই আইনি ব্যাখ্যা অনুযায়ী, সরকারি কোয়ার্টারে বসবাসরত মো. মোর্শেদ আলম শাহ্‌ বাসাভাতা গ্রহণ করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, তিনি মাসে ২ হাজার ৫০০ টাকা ভাড়া প্রদান করলেও তা সরকারি নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী বাসাভাতা গ্রহণের জন্য যথেষ্ট নয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত কর্মকর্তা মো. মোর্শেদ আলম শাহ্‌কে মুঠোফোনে সংবাদকর্মী পরিচয় দিয়ে কথা বললে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং ফোনটি কেটে দেন।

তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান সরকার জানান,বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে দেখা হবে। কেউ আইন লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত সুবিধা নিচ্ছেন কি না, তা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত © সংবাদ সবসময় - ২০২৩
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Marshal Host