সোমবার, ২১ Jul ২০২৫, ০১:১৪ পূর্বাহ্ন
চাঁদপুরে গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কনে ফুটে উঠল রক্তাক্ত জুলাই
‘২৪-এর রঙে’ শিক্ষার্থীদের তুলিতে স্বাধীনতার বীরগাঁথা।
মুহাম্মদ বাদশা ভূঁইয়া।।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস সমূহ পালন উপলক্ষে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা ২০২৫’-এর অংশ হিসেবে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরের সরকারি মহিলা কলেজ সীমানা প্রাচীরে রোববার (২০ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘২৪-এর রঙে গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা’।
প্রতিযোগিতায় জেলার ৮ উপজেলার মোট ৪৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি উপজেলা থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৩টি এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ৩টি প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়ে শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। তারা সীমানা প্রাচীরে ‘মুগ্ধের পানি লাগবে পানি’, ‘রক্তাক্ত ৩৬ জুলাই’, ‘আবু সাঈদ’, গণভবনসহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের উল্লেখযোগ্য মুহূর্তগুলো ২৪-এর রঙে তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলে।
পরে দুপুরে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন, পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিবসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা প্রতিযোগিতার স্থান পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা সীমানা প্রাচীরে অঙ্কিত গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কনগুলো ঘুরে দেখেন এবং অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন,
“জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক উজ্জ্বল অধ্যায়। তরুণ প্রজন্মের মাঝে সেই বীরত্বগাঁথা ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে আমরা এই ধরনের ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন করেছি। আজকের গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা ২৪-এর রঙে স্বাধীনতার গল্প, শহীদের আত্মত্যাগ এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পন্দন অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। তাদের এই সৃজনশীলতা প্রমাণ করে যে আমাদের নতুন প্রজন্মের মনে দেশপ্রেমের স্ফুলিঙ্গ এখনও জ্বলে আছে।
আমি বিশ্বাস করি, আজকের এই প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের মনে শুধু ইতিহাস জানার আগ্রহই সৃষ্টি করবে না, বরং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে তাদের নতুনভাবে উৎসাহিত করবে। আমরা চাই, চাঁদপুরের প্রতিটি তরুণ নিজের প্রতিভা ও সৃজনশীলতা দিয়ে দেশের জন্য কিছু করুক। এজন্য জেলা প্রশাসন সবসময়ই তরুণদের পাশে থাকবে।
এছাড়া এই ধরনের আয়োজন তরুণদের সামাজিক দায়িত্ববোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। তারা শিখবে, কিভাবে একটি আন্দোলন কিংবা বিপ্লবের ইতিহাস ক্যানভাসে বা প্রাচীরে ফুটিয়ে তোলা যায়। ভবিষ্যতেও আমরা আরো বৃহত্তর পরিসরে এই ধরণের কর্মসূচি হাতে নেব।