বার্তা ডেস্ক
- ৭ জুলাই, ২০২৫ / ২ জন পাঠক সংবাদটি পড়েছেন

বিদ্যালয়ে সহপাঠীর হামলায় আহত ছাত্র, হামলাকারীদের শাস্তির দাবি অভিভাবকের।
কেরানীগঞ্জ সংবাদদাতা। মোঃ আবু কালাম আজাদ
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের জিনজিরা পীর মোহাম্মদ পাইলট স্কুল এন্ড কলেজে নবম শ্রেণির এক ছাত্র সহপাঠীর হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রের বাবা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হামলাকারীদের শাস্তির দাবি করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে মো. ইমরান হোসেন ইমু (৩৫) বলেন, তার ছেলে মো. রিয়ান হোসেন ইফাত (১৬) উক্ত বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। গত ২৯ জুন দুপুর আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটে একই শ্রেণির একই শাখার ছাত্র মো. শাহাদাত (১৭) রিয়ানের কাছে ৫০ টাকা চায়। টাকা না দেওয়ায় শাহাদাত ও তার অজ্ঞাতনামা ২/৩ সহযোগী রিয়ানকে শ্রেণিকক্ষে এলোপাতাড়ি মারধর করে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা রিয়ানকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা টিপে ধরে ও বেঞ্চে শুইয়ে বুকে পা দিয়ে চেপে ধরে। তার চিৎকারে সহপাঠীরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং শিক্ষককে জানানোর কারণেও ফের মারধরের ভয় দেখায়।
পরবর্তীতে গুরুতর আহত অবস্থায় রিয়ানকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে ছেলের মুখে ঘটনার বিস্তারিত শুনে বিদ্যালয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার বাবা।
অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন, বিদ্যালয়ের সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ পরীক্ষা করলেই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যাবে। তিনি দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফারহাতুল বারী বরেন আমি একটি লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করে ঘটনা পর্যালোচনা ও ম্যানেজিং কমিটির সমন্বয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, গতকাল ঘটনা জানতে পেরে আমি ঐ ছাত্রকে ডেকে আমি সতর্ক করে দিয়েছিলাম। কিন্তু তারপরও যেহেতু সে হুমকী দিয়েছে তাই আমি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এদিকে অভিযোগের একটি অনুলিপি কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার,
কেরানীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছেও পাঠানো হয়েছে।