বৃহস্পতিবার, ১৭ Jul ২০২৫, ০৩:৫৩ অপরাহ্ন
কেরাণীগঞ্জে আরো দুই করোনা রোগী সনাক্ত ২০ টি বাড়ি লকডাউন
কেরাণীগঞ্জের জিনজিরা গোলজারবাগ ও শুভাঢ্যার চুনকুটিয়া এলাকায় আরো দু’ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আজ ৬ এপ্রিল সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কেরাণীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মীর মোবারক হোসাইন। আক্রান্ত ব্যক্তির এক জনের বয়স ৬৮ আর অপরজনের বয়স (৫০) বছর। বর্তমানে জিনজিরা গোলজারবাগের ওই ব্যাক্তি নিজ বাসাতে স্ত্রীসহ রয়েছেন। আর শুভাঢ্যার চুনকুটিয়া হিজলতলার আক্রান্ত ব্যাক্তি রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে সোমবার বিকালে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দু’টিসহ ২০ টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে প্রায় ১৫০টি পরিবারকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছেন উপজেরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একই সঙ্গে করোনায় আক্রান্ত ওই দুই ব্যক্তির বাড়ির আশপাশের সড়কে চলাচল সীমিত করা হয়।
কেরাণীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মীর মোশারফ হোসাইন জানান, জিনজিরায় আক্রান্ত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহের পর পরীক্ষায় তার পজেটিভ রেজাল্ট আসে। তাকে আজ সোমবার) কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। শুভাঢ্যার চুনকুটিয়া এলাকার অপর ব্যাক্তি অসুস্থ্য হয়ে ঢাকা মেডিকেলে গেলে সেখানে পরীক্ষার পর তাকে করোনায় আক্রান্ত বলে সনাক্ত করা হয়। বর্তমানে সে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। আক্রান্ত দুজন ব্যক্তি বিদেশ ফেরত নন। তারা যে কোন ভাবেই হোক অন্য কারো দ্বারা সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।
কেরাণীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কামরুল হাসান সোহেল বলেন, শুভাঢ্যার চুনকুটিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত স্থানীয় মসজিদে গিয়ে নামায পড়েছেন। এসব কারনে আক্রান্ত ব্যক্তি যে বাড়িতে থাকতেন সেই বাড়িসহ আশপাশের এলাকা পুরোটা লকডাউন করা হয়েছে। অন্তত ১৪ দিন তাদের লকডাউনে থাকতে হবে। এছাড়া জিনজিরা গোলজারবাগে ওই বাড়িটিও লকডাউন করা হয়েছে। দুটি এলাকায় ২০টি বাড়িতে অন্তত দেড় শতাধিক পরিবার বসবাস করে। এসব পরিবারের খাদ্য সহায়তার বিষয়টিও উপজেলা প্রশাসন নিশ্চিত করবে।