কেরানীগঞ্জে ছেলের মুক্তি দাবিতে মায়ের সংবাদ সম্মেলন,

কেরানীগঞ্জ সংবাদদাতা মোঃ ইমরান হোসেন ইমু,

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ছেলে বেলায়েত হোসেনের মুক্তির দাবি জানিয়ে কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মা হোসেনে আরা বেগম। সাবেক স্ত্রীর মায়ের করা মামলায় গত ১২ জানুয়ারী পুলিশ বেলায়েতকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ০২ ফেব্রুয়ারী কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবে
সংবাদ সম্মেলনে হোসেনে আরা বেগম বলেন, উপজেলার নতুন সোনাকান্দা এলাকায় তাদের বাড়ি। বেলায়েত দীর্ঘদিন ইউরোপে কাটিয়ে ২০১৮ সালে দেশে ফিরে সালেহ আহমেদ বাচ্চুর মেয়ে সাদিয়া আক্তার খাদিজাকে বিয়ে করেন। বিয়ের ১৭ মাস পর বেলায়েত কাজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যায়। বেলায়েতের অবর্তমানে খাদিজা এক শিক্ষকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে খাদিজা বেলায়েতের দেয়া স্বর্নালংকার ও টাকা পয়সা নিয়ে ওই শিক্ষকের সঙ্গে পালিয়ে যায়। পরে সে বেলায়েতকে তালাক দেয়। সৌদি থেকে ২০২০ সালের অক্টোবরে দেশে ফিরে অন্য এক মেয়েকে বিয়ে করেন বেলায়েত। এতে খাদিজা ও তার পরিবার বেলায়েতের উপর ক্ষিপ্ত হয়। বেলায়েতকে হেনস্তা করতে গত ১২ জানুয়ারী খাদিজার মা শাহনেয়াজ পারভীন বেলায়েতের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওইদিন রাতেই সোনাকান্দার বাসা থেকে পুলিশ বেলায়েতকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। দুইদিন থানায় আটক রাখার পর ১৪ জানুয়ারী ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়।
হোসেনে আরা বেগম আরও বলেন, আমার ছেলে নাকি ফেসবুকে ভূয়া আইডি খুলে তার সাবেক স্ত্রীর অশ্লীল ছবি ছেড়েছে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে। এটা সম্পূর্ন মিথ্যা। বেলায়েতকে শায়েস্তা করতে খাদিজা ও তার পরিবার পুলিশের সহায়তায় এমনটি করেছে। এমনকি পুলিশ নির্যাতন করে ছেলেকে আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করেছে। সংবাদ সম্মেলনে বেলায়েত এর ক্যান্সার আক্রান্ত বাবা ও সিঙ্গাপুর প্রবাসী ছোট বোন সাবিনা উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাইনুল ইসলাম নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গ্রেপ্তারের পর বেলায়েত স্বেচ্ছায় আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে। এছাড়াও যে মোবাইল দিয়ে খাদিজা আক্তারের অশ্লীল ছবি ফেসবুকে ছাড়া হয়েছে সেই মোবাইলটি তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়