তৃর্ণমুলে নির্বাচনের হাওয়া কলাতিয়ায় চেয়ারম্যানপদে সমর্থন চান আব্দুল বারেক,

মোঃ ইমরান হোসেন ইমু: কেরাণীগঞ্জ থেকে :

আগামী মার্চে ইউপি নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষনা করেছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।

নির্বচন কমিশন সচিবালয় থেকে সম্ভাব্য তারিখ ঘোষনার পর পরই দেশব্যাপী বইতে শুরু করেছে ইউপি নির্বাচনের আগাম হাওয়া।

ঘোষিত ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই দৌড়-ঝাপ শুরু করেছেন সম্ভাব্য সব প্রার্থীরা।

দলীয় মনোনয়ন পেতে নেতাদের তদবিরসহ ভোটারদের সমর্থন আদায়ে মরিয়া নতুন মুখের অনেকেই। দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় সামিল হচ্ছেন রাজনৈতিক ও সামাজিক সব কর্মকান্ডে।

ঘুরেফিরেই সময় দিচ্ছেন নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায়। সারা দেশের ইউনিয়নগুলোতে ইতিমধ্যেই এমন সব চিত্র ফুটে উঠতে দেখাগেছে।

সারা দেশের ন্যায় রাজধানীর শহরতলী কেরাণীগঞ্জেও বইতে শুরু করেছে ইউপি নির্বাচনের হাওয়া। সারা উপজেলা জুড়ে ইতিমধ্যেই ঘুরেফিরে শোনাযাচ্ছে বেশ কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম।

এদের মধ্যে কলাতিয়ায় নতুনমুখ হিসেবে মো. আব্দুল বারেকের নাম জোড়েসোরেই শোনা যাচ্ছে। স্থানীয় ভোটার ও সমর্থকদের পাশাপাশি নিজেকে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে উপস্থাপন করছেন তিনি নিজেও। তবে দল মনোনয়ন দিলে পরেই তিনি প্রার্থী হবেন। সেক্ষেত্রে নিজেকে শতভাগ সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবেই মনে করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের এই নেতা।

জানাযায়, মো.আব্দুল বারেক ১৯৭৩সালের ২৩ সেপ্টেম্বর কলাতিয়া ইউনিয়নের জৈনপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতার নাম মৃত-শেখ মোহাম্মদ আলী,মাতার নাম রেজিয়া খাতুন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি বর্তমানে ঢাকা জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদকের পাশাপাশি কেরাণীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে রাজণীতির পাশাপাশি ব্যবসা বানিজ্য করে যাচ্ছেন। এর আগে তিনি ১৯৮৯সালে কলাতিয়া ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড ছাত্র লীগের সভাপতি। ১৯৯১সালে থানা ছাত্রলীগের সদস্য ও ইস্পাহানী ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্র লীগের সহ-সভাপতি, ১৯৯৪সালে কেরাণীগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক,১৯৯৫সালে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এছাড়া ১৯৯৯সালে থানা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ২০০২সালে জেলা আওয়ামী যুবলীগের সদস্য পদে থেকে রাজণীতি করেন। এছাড়া তিনি দাতা সদস্য তালেপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়,সাধারন সম্পাদক জৈনপুর গ্রাম উন্নয়ণ কমিটি,প্রধান উপদেষ্টা মদিনাতুল উলুম নূরানী মাদ্রাসা, প্রধান উপদেষ্টা জৈনপুর যুব উন্নয়ন উদ্যোমী সমিতি, প্রধান উপদেষ্টা কৃষ্ণচুড়া যুব উন্নয়ন সংঘ, প্রধান উপদেষ্টা ছাতিরচর যুব উন্নয়ন সংঘ। এর বাইরেও বিভিন্ন সামাজিক ও সেবামূলক সংগঠনের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে এলাকা ও এলাকাবাসীর সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। সুস্থ ও পরিচ্ছন্ন সমাজ গঠনে নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমাদের সামাজিক অবক্ষয় থেকে যুব সমাজকে রক্ষার লক্ষে মদ-জুয়া,ঘুষ-দূর্নীতি,এসিড সন্ত্রাস,যৌন হয়রানি ও বাল্য বিবাহরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার পাশাপাশি নিজেও সর্বদা অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন,মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতির জনকের স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মানের অংশ হিসেবে গর্বের কলাতিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট সংস্কার ও নির্মানসহ বিভিন্ন স্কুল- কলেজ,মসজিদ-মাদ্রাসা,ঈদগাহ-কবরস্থান ও মন্দির কিংবা উপসনালয়ে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে উন্নয়নের ধারাকে আরো গতিশীল ও ত্বরান্বিত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। এসকল দিক বিবেচনায় আগামী ইউপি নির্বাচনে কলাতিয়া ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে তিনি নিজেকেই দলীয় মনোনয়ন পাবারমত একমাত্র যোগ্য প্রার্থী হিসেবে মনে করে এলাকাবাসীর সমর্থন ও দলীয় প্রধানদের সুদৃষ্টি কামনা করছেন