নদীর পানি বৃদ্ধিতে কেরানীগঞ্জ কয়েকটি ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে
মোঃ ইমরান হোসেন ইমু।. নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
অব্যাহত নদীর পানি বৃদ্ধিতে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কয়েকটি ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।পানি বাড়ার সাথেসাথে বেড়েছে নদীর ভাঙ্গন। । এছাড়াও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে অনেক বসতবাড়ি, পানিতে ভেসে যাচ্ছে মাছের ঘের, বেশকিছু স্কুল-মাদ্রাসার আঙিনায়ও পানি ঢুকে পড়েছে। রাস্তার উপর পানির স্রোত মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০০৪ কিংবা ১৯৮৮ সালের বন্যার কথা। উপজেলার তথ্যমতে সর্বশেষ কেরানীগঞ্জে বন্য হয়েছিল ২০০৪ সালে।
এরপর অধিকাংশ বন্যা মৌসুমে উঁচু জায়গাতো দূরের কথা নিচু জায়গাও প্লাবিত হয়নি। । তবে এবারের পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে কিছুটা ভিন্ন।ইতোমধ্যে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে দুঃসংবাদ শুনিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে আগামি আরো কয়েকদিন বন্যা পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গঙ্গা অববাহিকায় পানি বৃদ্ধির ফলে ঢাকার আশপাশের কয়েকটি নদীর পানি এখন বাড়ছে। আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত এ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানাচ্ছে বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
কেরানীগঞ্জ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে হযরতপুর, কলাতিয়া, তারানগর, শাক্তা, বাস্তা, কোন্ডা, রুহিতপুরসহ অনেক এলাকার নিন্মাঞ্চল ইতোমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে। আরো নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। রাস্তাাঘাট ভেঙ্গে পানি ঢুকছে বাসাবাড়িসহ ঘরের ভেতর। দেখা দিয়েছে নদীভাঙন।
রুহিতপুরের কালিগঙ্গা নদী ভাঙ্গণের ফলে বিলিনের আশংকায় একটি গ্রাম ও বহু ফসলি জমি, পাশের লাখিরচরের সরকারী আবাসন প্রকল্পটিও টিকে আছে নামে মাত্র। ভেঙ্গে গেছে প্রকল্পের এক-তৃতীয়াংশ। কলাতিয়া ইউনিয়নের খাড়াকান্দী ও নতুন চর খাড়াকান্দী এলাকার বিরাট অংশ ভেঙ্গেই চলছে হুমকির মুখে ঢালিকান্দী বাধঁ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত দেবনাথ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক। কিছু এলাকায় নদী ভাঙনও দেখা দিতেছে। আমরা পরিস্থিতি দেখছি, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা হচ্ছে। জরুরী খাবার সামগ্রী ও ঔষধ পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। আতংকিত হওয়ার কিছু নেই।
সম্পাদকঃ ইমরান হোসেন ইমু
অফিসঃ মাহফুজা প্লাজা (২য় তলা), কদমতলী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০
মোবাইলঃ ০১৭৫৬৬২৯৩০৫, ০১৮১৯-৫০১১২৫
বার্তা বিভাগঃ ০১৭৫৬৬২৯৩০৫
ইমেইলঃ songbadsobsomoy2@gmail.com