কেরাণীগঞ্জে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসহ “বুস্টার গ্যাং” এর ০৭ সদস্য আটক।

কেরানীগঞ্জ সংবাদদাতা মোঃ ইমরান হোসেন ইমু,

ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা হতে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসহ “বুস্টার গ্যাং” এর ০৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-১০ সদস্যরা।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ১ ঘটিকার সময় র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা জেলার দক্ষিন কেরাণীগঞ্জ থানাধীন আগানগর এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসহ
স্থানীয় “বুস্টার গ্যাং” এর সাত সদস্যকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম ১। গ্যাং লিডারঃ মোঃ শাওন ওরফে বুষ্টার শাওন (২৫), ২। মোঃ রবিন @ পঁচা রবিন (২৬), ৩। শাওন @ চিকু শাওন @ হকি শাওন (২৩), ৪। মোঃ তাজল (২৮), ৫। মোঃ আলী আজগর (২৫), ৬। মোঃ রিয়াজ (২৩) ও ৭। মোঃ আনোয়ার (২৫)

এসময় তাদের নিকট থেকে ০১ টি ওয়ান সুটার গান, ০১ রাউন্ড গুলি, ০৩টি সুইচ গিয়ার, ০১টি প্লাস্টিকের বাট যুক্ত চাকু, ০১টি ছোরা, ০১টি চাইনিজ কুড়াল, ০১টি কাঠের হ্যামার, ০১টি করাত, ০২টি হকস্টিক, ২৮৫ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩৫ পুরিয়া গাঁজা, ০২ ক্যান বিয়ার, ০১টি ইলেকট্রনিক ওজন মাপার যন্ত্র ও নগদ এক হাজার দুইশত ত্রিশ টাকা জব্দ করা হয়।

র‌্যাব-১০ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় এই সংঘবদ্ধ অপরাধীরা স্থানীয় “বুস্টার গ্যাং” এর সদস্য। তারা সবসময় একত্রে ইয়াবা, গাজা, বিয়ার, মদসহ নানা ধরণের মাদক সেবন করে এবং প্রায় তারা নিজেদের মধ্যে পার্টি করে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের লক্ষে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশী অস্ত্রসহ মারামারিতে লিপ্ত থাকে। এছাড়া তারা বিভিন্ন জনবিরল এমনকি জনসমাগমপূর্ণ স্থানেও তারা একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে আশেপাশের কেউ বুঝে ওঠার আগেই আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশী অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল হ্যান্ডসেট, ল্যাপটপ, সাথে বহন করা দ্রব্যসামগ্রীর ব্যাগ প্রভৃতি ডাকাতি করে দ্রæত পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত বুস্টার গ্যাং এর অপরাধীরা স্বীকার করে যে, ডাকাতি/ছিনতাই ছাড়াও তারা মাদক সেবন, খুচরা মাদকের ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, পাড়ায়-মহল্লায় মারামারি এবং স্থানীয় ভূমি দস্যুদের পক্ষে অপদখলীয় জমিতে গিয়ে পেশীশক্তির মহড়া প্রদর্শনসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছে। প্রায়শঃই তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তারকল্পে দলবদ্ধ হয়ে সংঘাত সৃষ্টি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে। এছাড়া তারা ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ও হানিফ ফ্লাই ওভারের উপর বিভিন্ন সময়ে যানবাহন থামিয়ে সাধারন মানুষের চলাচলে ব্যাপক সমস্যা সৃষ্টিসহ ছিনতাই, রাহাজানি ইত্যাদির সাথে জড়িত ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। এলাকাবাসীর কাছে জানা যায়, বুস্টার গ্যাং এর কার্যকলাপে তারা অতিষ্ঠ। এই গ্যাং এর বেশিরভাগ সদস্যেরই একাধিক পুলিশ কেস রয়েছে। কোন কিছুর তোয়াক্কা না করেই দিন দিন তারা তাদের অপরাধের পরিধি বাড়িয়েই চলেছে বলে এলাকাবাসী মন্তব্য করে।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় অস্ত্র, ও মাদক , প্রস্তুতি ডাকাতির মামলা  রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।