করোনা ভাইরাসে কেরাণীগঞ্জে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ১৩ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৬৭ জনে।
আজ ২২ এপ্রিল বুধবার কেরাণীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মীর মোবারক হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরো বলেন, কেরাণীগঞ্জে এ পর্যন্ত ১৩৫ টা করোনা টেস্ট করা হয়েছে। যার মধ্যে আজ পর্যন্ত ৬৭ জনই পজিটিভ পাওয়া গেছে।

নতুন আক্রান্ত ১৩ জনের মধ্যে ৩ জন নারী রয়েছে। ১৩ জনের মধ্যে ১ জন কুর্মিটোলা হাসাপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। তার বাড়ি কলাতিয়া ইউনিয়নের গুয়াডুরি এলাকায়। নারী তিনজনের একজনের বাড়ি শুভাঢ্যা ইউনিয়নের হাসনাবাদ এলাকায়,তার নাম হাসিনা বগেম (৫০)। অন্যজনের নাম আকলিমা হক ( ৬৫) বাড়ি আগানর ইউনিয়নের আমবাগিচা এলাকায় । অপর নারীর নাম অজুফা( ৪০)। তবে তার ঠিকানা এখনো জানা যায়নি। বাকী ৯ জন পুরুষ রোগী হচ্ছে, মোঃ সেন্টু(৪৬)। তার বাড়ি জিনজিরার ইসলামাবাদ এলাকায়। আব্দুল আজিজ(৫৫) বাড়ি শুভাঢ্যায়। মুঞ্জুরুল হক (৫০) তার ঠিকানা জানা যায়নি। মোঃ আলাউদ্দিন (২৬)। তার বাড়ি কালিন্দী ইউনিয়নের নেকরোজবাগ এলাকায়। মোঃ নান্নু (৬৫) তার বাড়ি শাক্তা ইউনিয়নের আটিবাজার এলাকায়। আজমত আলী (৫৫)। বাড়ি কোন্ডা ইউনিয়নের কাউটাইল এলাকায়। মোঃ জয়নাল (২৫)। বাড়ি কোন্ডা ইউনিয়নের কাজিরগাও এলাকায়। মোঃ মোবাশ্বের (৫৪)। বাড়ি শুভাঢ্য মধ্যপাড়া এলাকায়। হাজী আব্দুল মজিদন (৭০)। তার বাড়ি শুভাঢ্যা ইউনিয়নের কালিগঞ্জ বাজার এলাকায়।
কেরাণীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেব নাথ বলেন, ধীরে ধীরে কেরাণীগঞ্জে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। জনগণ যদি নিজ থেকে সচেতন না হয় তাহলে সামনে খুব বিপদে পড়তে হবে। জনগণ এখন নিজ থেকে লকডাউন মানছে না কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ হলে একটা সময় আসবে মাঠে সেনাবাহিনীও থাকবে আবার করোনা রোগীর সংখ্যাও বেড়ে যাবে। তাই আমার অনুরোধ আপনারা ঘরে থাকুন নিচে বাঁচুন পরিবার ও দেশকে বাঁচান।

কেরাণীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মীর মোবারক হোসেন আরো বলেন কেরাণীগঞ্জবাসী আরো সচেতন না হলে আমাদের আরো বিপদে পড়তে হবে। তিনি বলেন, প্রয়োজনে এক বেলা কম খেয়ে হলেও আমাদেও সবাইকে আরো ১০/১৫ দিন ঘরেই থাকতে হবে। না হলে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন আরো বাড়তেই থাকবে।