অনলাইন ডেস্ক :
১৭ বছরের তরুণ পেলে প্রথম টিনএজার হিসেবে গোল করেছিলেন ১৯৫৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে। এরপর ৬০ বছরের অপেক্ষা। আর কোনো টিনএজার গোল পাননি ফাইনালে। দীর্ঘ সময় পর কিলিয়ান এমবাপে ভাঙলেন সেই দেয়াল। প্রবেশ করলেন পেলের ক্লাবে। চার গোল নিয়ে টুর্নামেন্টের তরুণ খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ১৯ বছর বয়সি এ ফুটবল তারকা। তার আনন্দ দ্বিগুন করেছেন পেলে। এমবাপেকে দেখে বেশ খুশি পেলে। এর আগে পেলের আরেকটি রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন এমবাপে। আজ ফাইনালের মঞ্চে করলেন গোল। শুভেচ্ছা জানিয়ে পেলে তার ক্লাবে এমবাপেকে স্বাগত জানিয়েছেন। এ ক্লাব ‘টিনএজারদের ক্লাব।’ এমবাপে ক্লাবে তোমাকে স্বাগতম। ভালোই হলো। সঙ্গ পাওয়া যাবে।’- বলেছেন পেলে। ক্রোয়েশিয়ার জালে ম্যাচের ৬৫ মিনিটে গোল করেন এমবাপে। ২৫ গজ দূর থেকে তার নেওয়া শট ফেরাতে পারেননি সুবাসিচ। এমবাপের চতুর্থ গোলে ফ্রান্স এগিয়ে যায়। জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে তারা। বিশ্বকাপের শুরু থেকে মাঠে নামলেও এমবাপে নক আউট পর্ব থেকেই নিজেকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরেন। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে তার পারফরম্যান্স ছিল চোখ ধাঁধানো, ঈর্ষণীয়। শেষ ষোলোর ম্যাচে গোল পেয়েছিলে দুটি। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। চিতার মতো ক্ষীপ্র এমবাপে। বলে তার অসাধারণ নিয়ন্ত্রণ। শারীরিক গঠনও দারুণ। সব মিলিয়ে এমবাপে পুরো প্যাকেজ। এজন্য অনেকেই পেলের সঙ্গে এমবাপের তুলনা করছে। বিষয়টি মোটেও পছন্দ নয় এমবাপের। টুর্নামেন্টের উদীয়মান খেলোয়াড় হিসেবে এমবাপে পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৫৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে দুটি গোল করেছিলেন পেলে। তখন তার বয়স ১৭ বছর ৬ মাস। এখন এমবাপের বয়স ১৯ বছর ৮ মাস। পেলে নিজের প্রথম বিশ্বকাপটি জিতেছিলেন টিনএজার হিসেবে।
সম্পাদকঃ ইমরান হোসেন ইমু
অফিসঃ মাহফুজা প্লাজা (২য় তলা), কদমতলী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০
মোবাইলঃ ০১৭৫৬৬২৯৩০৫, ০১৮১৯-৫০১১২৫
বার্তা বিভাগঃ ০১৭৫৬৬২৯৩০৫
ইমেইলঃ songbadsobsomoy2@gmail.com